১২ জুলাই, ২০২৩ ১৯:৪৯

চোর সন্দেহে যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

চোর সন্দেহে যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

হাসপাতালে ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা

মাদারীপুর সদর উপজেলায় চোর সন্দেহে আল-আমীন হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে রাতে ঘর থেকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা ঝাউদি ইউনিয়নের পূর্ব মাদ্রা এলাকায়।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা মিলে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই যুবক বর্তমানে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মেম্বার ও তার অনুসারীদের বিচার দাবি করেছেন তারা।

আহত যুবক ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের আলমগীর হাওলাদার ছেলে। তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী যুবক বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মাদারীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিরা হলো, একই এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান মিন্টু হাওলাদার (৪৫), সিরাজুল হাওলাদার (৪০), আক্তার হাওলাদার (৩৮),  ও উভয়ের পিতা হাসেম হাওলাদার, মাদ্রা এলাকার মৃত্যু আনসার উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে কেরামত হাওলাদার (৫০), মৃত আয়নাল হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদার (৩০)। 

মামলার বিবরণীতে ভুক্তভোগী বলেন, গত ৭ জুলাই ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান মিন্টুর দোকানে চুরি হয়। কে বা কারা চুরি করেছে সেটা আমি জানি না। আমি কাঠমিস্ত্রীর কাজ করি, দিন আনি দিন খাই। গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকানের টাকা চুরি হওয়ায় চোর সন্দেহে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন মিলে আমার ঘরে এসে কোনো কিছু না বলেই আমাকে জোর করে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। আমি বার বার বলেছি, আমি চুরি করিনি। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। তারা আমার হাত-পা বেঁধে মুখের ভেতর কাপড় দিয়ে নির্যাতন করেছে। আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তারা মেরে আমার পুরো শরীর শেষ করে ফেলেছে। আমি এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমি বাঁচব কিনা জানিনা, মেম্বার এবং তার অনুসারীদের বিচার চাই। 

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, সে বিভিন্ন বাড়িতে সবসময় চুরি করতো। এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে চুরি করেনি। তাকে উত্তেজিত লোকজন পিটিয়েছে। আমি মেম্বার মানুষ কেন তাকে মারতে যাব। স্থানীয় লোকজন মারধর করেছে, আমার কিছু করার ছিল না। 

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর