শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চল্যকর অটো ছিনতাই ও চালক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন ঝিনাইগাতী থানার গিলাগাছা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. সবুজ মিয়া (৩৯) এবং একই উপজেলার মালিঝিকান্দা গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে মোঃ রূপন (২৯)।
আজ দুপুরে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মৃত শাহ আলম প্রতিদিন অটোরিক্সা চালানো শেষে রাত ১২ টার মধ্যে বাড়ি চলে আসত। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ভাড়ার উদ্দেশে অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করে পায়নি। ৮ অক্টোবর সকালে কুচনীপাড়ায় রাস্তার পাশে সাবেক চেয়ারম্যান জনৈক সামছুল হকের ধান ক্ষেতে শাহা আমলের লাশ পাওয়া যায়।এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারি সবুজ মিয়া ও রূপনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ছিনতাইয়েরর উদ্দেশে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর শাহ আলমের অটোরিক্সাটি ৫০০ টাকায় ভাড়া করে ঝিনাইগাতী থানার বাঁকাকুড়া বাজারে গিয়ে দোকান হতে রশি ক্রয় করে ঘটনাস্থল কুচনীপাড়া এলাকায় আসে। পরে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাকি ৪৫০ টাকা পরে দিবে বলে শাহ আলম চলে যেতে বলে। কিছুক্ষন পর আসামি সবুজ মিয়া মোবাইল ফোনে বাকি টাকা দেয়ার কথা বলে শাহ আলমকে কুচনীপাড়া বাজারে আসতে বলে। শাহ আলম ঘটনাস্থল কুচনীপাড়া এলাকায় আসলে আসামী সবুজ মিয়া অটোগাড়ীর পিছনে বসে এবং আসামী মোঃ রূপন অটোরিক্সার সামনের সীটে বসে কুচনীপাড়া বাজারের দিকে যেতে থাকে। পরে দুজনে মিলে শাহ আলমের গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে অটোরিক্সাটি চালিয়ে এসে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে বালিয়াচণ্ডি গ্রামে ফেলে রেখে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য সোমবার বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।
প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফখরুজ্জামান জুয়েল, (ক্রাইম এন্ড অপস্) খোরশেদ আলম, (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল