শিরোনাম
- ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর
- মনে হচ্ছে ‘অন্ধকারতম’ চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়েছি : ট্রাম্প
- কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২
- হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকসহ নিহত ২
- নুরাল পাগলার মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে
- নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বিএনপি প্রস্তুত : নবীউল্লাহ নবী
- প্রকৃত সংস্কারের আগে মানসিক সংস্কার দরকার : গয়েশ্বর
- বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে জনগণ : ডা. শাহাদাত
- খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী, বিএনপিকে ট্যাগ দিবেন না : রিজভী
- কুড়িগ্রামে ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
- নবীনগরে কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কুমারখালীতে ৯ বছর পর সম্মেলন, সভাপতি আনছার সম্পাদক লুৎফর
- নাটোরে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে
- মোংলায় আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভা, এবার ৩৫ মন্দিরে দুর্গোৎসব
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র দলের র্যালি
- ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু
- নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
- বিএনপির হাতেই দেশ নিরাপদ : সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু
- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
- সাইফুর রহমান না থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো: ড. মঈন খান
শীতেই কদর বাড়ে তাঁতিদের
আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও:
অনলাইন ভার্সন

শীতের দিন কম্বল বিক্রি করে আমাদের সংসার ভালোই চলে। কিন্তু শীত যখন চলে যায় তখন কিভাবে চলি তা যেন দেখার কেউ নেই। চলার মত বুদ্ধি আর থাকে না। এই শীত আসলেই হামার কদর বাড়ে যায়। আর শীত গেলে শেষ। এভাবে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পরে। তখন দেনা মাহাজান বেশি হয়ে যায়। পরে আবার শীত আসে। তখন সুতা নিয়ে আসে আবার কম্বল তৈরি করে বিক্রির টাকা মহাজনের ঋণ পরিশোধ করি। তখন ঘুরি ফিরে শীতও গেল, আবার অভাবও ফিরে আসিল। এভাবে মনের অভিব্যক্ত করছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কেশড়বাড়ি তাঁত পল্লীর কারিগর সচিন।
একসময় তাঁত পল্লীর ৫শ তাঁতের খটখট শব্দে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেশুরবাড়ি এলাকা মুখরিত হলেও এখন পুঁজির অভাবে তা প্রায় বন্ধের পথে। পৈত্রিক পেশা ছাড়তে না পাড়ায় ধার দেনা করে কোনোভাবে টিকে রয়েছে তাঁতিরা। তবে প্রতি শীতে বাড়ে তাদের ব্যস্ততা।
সরেজমিনে জানা যায়, নানা প্রতিকূলতা সত্বেও এখানকার ৫শ পরিবারের প্রায় ১২শ মানুষ বংশানুক্রমে তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তারা আগে শাড়ি-লুঙ্গি তৈরি করলেও বর্তমানে শুধু কম্বল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই ২/৩ করে তাঁত রয়েছে। এর কোনটা চাকাওয়ালা, আবার কোনটা একেবারেই বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি। কম্বল তৈরী করায় কারও তাঁত সচল আর করোটা অচল হয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই বাড়ির নারী-পুরুষসহ সবাই কম্বল তৈরির কাজে ব্যস্ত হলেও অনেকে পরিবার জীবিকার তাগিদে পেশা পরির্বতন করেছেন।
রবিন নামে এক তাঁতি বলেন, গত বছর ৪০ কেজি সুতার দাম ছিল ২২শ থেকে ৩২শ টাকা। এবার সেই সুতার দাম ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। ৪০ কেজি সুতায় দিয়ে ২০-২২ টি কম্বল তৈরী হয়। কম্বল বিক্রি করে কোনোভাবে আসল টাকা পাওয়া যায়। প্রতি বছর লোকসান হচ্ছে। লোকসানে এলাকার শিবু, টিপু, চন্দনসহ অনেক তাঁতি বাড়িছাড়া হয়েছেন। আগে সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও আমাদের কাছে কম্বল কিনে নিত। এখন বাজারে কম দামের বে¬জারের কম্বল আসার কারণে আমাদের কম্বল নেয়া হয়না।
প্রবীণ তাঁত কারিগর ধনেশ চন্দ্র বর্মণ দুঃখ করে বলেন, শীত এলে আমরা এই কম্বল বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাই। তখনি আমাদের কদর টা বাড়ে। কিন্তু গরমের সময় কম্বল তৈরি করার কাজ থাকে না। তখন শহরে গিয়ে রিকশা চালাতে বা ইটভাটায় কাজ করতে হয়। সরকার যদি কোনো সহযোগিতা করত তাহলে সারাবছর আমরা তাঁতের কাজ করতে পারতাম। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হলে এই পুরোনো দিনের শিল্পকে বাচানো যাবে বলে অনেকে অভিমত দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়াসহ তাদের কম্বল বাজারজাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

উত্তেজনা বাড়িয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপর দিয়ে ২ যুদ্ধবিমান উড়াল ভেনেজুয়েলা
২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিরাপত্তা শঙ্কায় বিসিবি সভাপতি, গানম্যান চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি
২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে লেবানন
১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম