চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলাযর পাইকপাড়ায় ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। খুন হওয়া মায়ের নাম রানু বেগম (৫৫)। ঘাতক ছেলে রাছেল (২২) ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহতের স্বামী আতর খাঁন বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। আমি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজ করি। আমার ছেলে রাসেল দুপুরের পর আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রেখেছে।
তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাছেল পালিয়ে গেছে। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় ৫ বছর যাবত ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজ রাখে না। বাকি ৩ মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাসেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে।
গত কয়েকদিন যাবত সে তার বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে তার বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এই হত্যার বিচার করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খাঁন ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্য অনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ