২৫ মে, ২০২৪ ১৬:৩৯

কালিয়াকৈরে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, অংশগ্রহণকারীদের ভোগান্তি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

কালিয়াকৈরে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, অংশগ্রহণকারীদের ভোগান্তি

ফালু পালোয়ান হাইস্কুলে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ফালু পালোয়ান হাইস্কুলে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণেই এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থপিত করা হয়।

শনিবার দুপুরে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ফালু পালোয়ান হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ফালু পালোয়ান হাইস্কুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়াসহ পাঁচটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

তবে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ থাকা সত্ত্বেও ওই পদে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নৈশপ্রহরী আদালতে নিয়োগ স্থগিত চেয়ে একটি রিট করেন। বিষয়টি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম গোপন করে রাখেন। শনিবার সকালে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের দুই সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির পক্ষ থেকে সদস্য উপস্থিত না থাকা এবং একই পদে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কারণে হাইকোর্টের নোটিশে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

কিন্তু স্থগিতের আগ মুহূর্তে প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করার কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়নি। ফলে প্রার্থীরা সকাল থেকে স্কুলে অবস্থান নেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সকাল নয়টায় স্কুলে এসে বসে আছি। এখন বারোটা বেজে গেছে। এখনো নিয়োগ বোর্ডের এক সভাপতি ছাড়া কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, বিষয়টি যদি আমাদের জানানো হতো, তাহলে কষ্ট করে আমাদের এখানে আসতে হতো না। আমাদের আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের গাফিলতিতে আমাদের এ কষ্ট করতে হচ্ছে।

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম জানান, নৈশপ্রহরীতে নিয়োগ রয়েছে, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সাইফুজ্জামান সেতু জানান, নৈশ্যপ্রহরী স্কুলে নিয়োগ আছে, তারপরও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি গোপন রেখে পুনরায় ওই পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক হয়নি। রেজ্যুলেশন খাতায় যখন উল্লেখ করা হয়, তখনও তিনি আমাকে জানাননি। প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে দূর-দূরান্ত থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা অংশগ্রহণকারীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।

নিয়োগ বোর্ডের গাজীপুর জেলা ডিসির প্রতিনিধি সদস্য ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমান জানান, নিয়োগ বোর্ডের দুই সদস্য অনুপস্থিত থাকায় ও একই পদে নিয়োগ দেওয়ার কারণে হাইকোর্টের নোটিশে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি আবেদনকারীদের আগেই জানানো উচিত ছিল। তাহলে তাদের এই হয়রানির শিকার হতে হয় না।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর