২৬ মে, ২০২৪ ১৫:১৭
ঘূর্ণিঝড় রেমাল

৫ জেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

৫ জেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের সব বিভাগে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। 

রবিবার ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পাহাড়ধসের বিষয়ে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। 

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ভূমিধসের আশঙ্কার কথা আমরা জেনেছি। ইতিমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাও হয়েছে। ইতিমধ্যে মাইকিং শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

রাঙামাটি শহরে ২৯টিসহ জেলায় মোট ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে বলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পরিস্থিতি খারাপ হলে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে নিয়ে আসা হবে। আসলে টানা বৃষ্টি হলেই পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধস হয় বেশি বৃষ্টি হলে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড়ধসে ১৬৮ জন নিহত হন। ১৩ জুন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নিহত হন ১২০ জন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে পাহাড়ধসে এত প্রাণহানি আগে হয়নি।
 
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রবিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে রেমাল বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর