ভোরবেলা ভারী বৃষ্টি ও তুমুল ঝড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ২০ টি গ্রাম। এসময় পৃথক স্থানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার। এর আগে শনিবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের জাহেদা বেগম (৫০) ও দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে নাঈয়ুম।
স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়। এসময় পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০) টিনের নিচে পড়ে মারা যায়। অপরদিকে ঝড়ের সময় বারান্দা বসে ছিলেন দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড়ে গাছপালা উড়তে দেখে বারান্দাতেই স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। অপরদিকে লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামে বাড়ীর পাশে গর্তে পড়ে গিয়ে শিশুটি মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজনের নজরে আসলে তাকে উদ্ধার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম এবং বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ কাঁচা বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙ্গে পড়েছে ঘরের উপর। বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘী বাজারে ৫টি দোকান এবং ২টি হোটেলে গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ঝড়ে একজন টিনচাপা পড়ে মারা গেছে। অপরিদকে ঝড়ের পড়ে একজন স্ট্রোক করে ও পানিতে ডুবে একজন শিশু মারা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল