২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ ২৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। চোখের চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা বিভাগ বন্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চড়া মূল্যে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে- মেডিকেল অফিসার অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় বিভাগটি বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে শিগগিরই চালু করা হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৮শ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ৫০০ শয্যার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখনো পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এর অনেক চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তেমনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. আরমান উদ্দিন আহমেদ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরিয়ার কবির এ বিভাগে তার সঙ্গে কাজ করতেন। তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় গত ৯ মে থেকে এই হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে এই হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে গিয়েও বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সামনে নোটিশ দেয়া হয়েছে চিকিৎসক পদায়ন না থাকায় বহি:বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। রোগীরা এসে এই নোটিশ দেখে ফিরে যাচ্ছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন বাইরে গেলেই খরচ কয়েকগুন বেড়ে যাচ্ছে। সেলিনা নামের মধ্যবয়সী এক রোগী এই বিভাগ দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার সাবেক ফুটবলার হেলাল কবীর বলেছেন, কুষ্টিয়া হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ অনেক দরকারি। রোগীরা খুব সহজে বিনামূল্যে এখান থেকে চিকিৎসা নিতে পারে। আমি নিজেও এখান থেকে চোখের অপারেশন করিয়েছি। এটি বন্ধ রাখা দু:খজনক। আরিফুজ্জামান নামের একজন বলেন- এই চক্ষু বিভাগের একই ডাক্তার এখন বাইরে ৭শ টাকা ভিজিটে রোগী দেখছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন- মেডিকেল অফিসার না থাকলে কনসালটেন্ট কাজ করতে পারেন না। তাই বিভাগটি বন্ধ আছে। আমরা ১লা জুন থেকে নতুন মেডিকেল অফিসার পেয়েছি। ডা. অমল কুমার কুন্ডুকে এই হাসাপাতালে এটাসমেন্টে দেওয়া হয়েছে। অচিরেই আবার আগের মতো এই বিভাগ চালু করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল