নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি রাজনৈতিক জীবনে অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা হয়েছে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। আমি এতদিন রাজনীতি করেও যেটা শিক্ষা লাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলাম। সেদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড় ঠেলে বৃদ্ধা কামবালা যিনি তার প্রার্থীকে চেনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমথর্ন করেন, যে দলের প্রতি তার ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তার বিশ্বাস আছে,সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় তার যৎসামান্য সঞ্চয়ের অর্থ ভোটে খরচ করার জন্য তুলে দিয়েছিলেন।
রবিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউপি’র গোদাবাড়ী গ্রামে ভূমিহীন কামবালা বেওয়াকে নবনির্মিত গৃহ হস্তান্তর আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী কামবালা সড়কের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক,আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকার প্রতি কামবালা বেওয়ার যে অগাধ বিশ্বাস আছে সেদিন প্রার্থী হিসেবে আমাকেও পরাজিত করেছিল। আমি যখন তাকে নৌকার (কামবালাকে) ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন ‘আমি এই প্রতীক চিনি, এই প্রতীক আমাকে চিনাতে হবে না।’ সেই সময় যেই অনুভূতি আমার শরীরের মধ্যে জাগরিত হয়েছিলো, সেটা ভুলবার নয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক কর্মী। তার এই স্বরণীয় দৃষ্টান্ত নির্বাচনে আমার একটি নতুন অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। তার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছিলাম, এই কামবালাই হচ্ছেন ভোটার অব ইলেকশন।
এ সময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহিৃ শিখা আশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল