রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় করাত কল রয়েছে ৫৭৫টি। এর মধ্যে মাত্র ৫৭টি করাতকলের মালিক বনবিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে। বাকি প্রায় ৪১৮ করাতকল চলছে অবৈধভাবে ও লাইসেন্স ছাড়া। তবে বনবিভাগ বলছে, অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চলমান রয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করাতকল স্থাপনে স্থানীয় ভূমি অফিস হতে নিজ নামে জমি আছে এমন ছাড়পত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন রয়েছে। এই দুটি বিভাগের ছাড়পত্র পেলে বন বিভাগ তাদের লাইসেন্স দেন। কিন্তু ভূমি অফিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করেন করাতকল মালিকরা। এজন্য অবৈধ করাত কলের সংখ্যা কমছে না।
অবৈধ করাতকল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে বেশ কয়েটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন করাতকল মালিককে জরিমানাও করা হয়েছে। রংপুরের সদর, মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হলেও থেমে নেই লাইসেন্স বিহীন করাত কলের রমরমা ব্যবসা।
সূত্রে জানা গেছে, করাতকল বিধিমালা ২০১২ এ বলা আছে কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এটা নিষিদ্ধ, আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে নিষিদ্ধ। অথচ এই নিদের্শনা মানছে না অনেকেই।
রংপুর বন বিভাগীয় কার্যালয়ের রেঞ্জ অফিসার মোশাররফ হোসেন জানান, অবৈধ লাইসেন্স বিহীন করাতকলের বিরুদ্ধে অবযান চলামান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম