ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাদক কারবারি ধরতে গিয়ে এসআই বিল্লাল নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ হওয়ার ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছেন। এসময় পুলিশসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ৬ নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২ জুন) রাত ৯টায় উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের খাড়ইপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে ফুলপুর থানার এসআই বিল্লাল, এসআই রফিকুল ও পুলিশের সোর্স আলীসহ ৪ জন যান খাড়ইপাড় গ্রামে মাদক কারবারি আটক করতে। সেখানে গিয়ে পুলিশের সোর্স আলীকে পাঠানো হয় মাদক কারবারি মোখলেছুর রহমান স্বপনের নিকট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট কিনতে। আলী গিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট কিনার কথা বলে দর দাম ঠিক করে টাকা হস্তান্তর করার সময় আড়াল থেকে এসআই বিল্লাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আটক করে স্বপনকে এবং হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। এসময় স্বপনের ডাক চিৎকারে আশপাশের তার লোকজন দৌড়ে আসে এবং পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশকে মারধর করে। এই ফাঁকে হ্যান্ডকাফ পরিহিত অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে যায় স্বপন। পরে এসআই বিল্লাল তার পিছনে ধাওয়া করে কিন্তু সঙ্গীয় ফোর্স কেউ তা টের পাননি। তারা ঘরের ভেতরে মাদক কারবারিদের সাথে ধস্তাধস্তি করছিলেন। এক পর্যায়ে এসআই বিল্লালকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) মো. আতাহারুল ইসলাম তালুকদার, ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও ছনধরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ অনেকেই ওই রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর মালিঝি গ্রামের লাল মিয়া ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে কর্দমাক্ত অবস্থায় এসআই বিল্লালকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু হ্যান্ডকাফ পরিহিত মাদক কারবারি মোখলেছুর রহমান স্বপনকে সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মজিবর রহমান (৩০), সুমন মিয়া (২০), জাহাঙ্গীর আলম (১৮), সুফিয়া, আছিয়া, জায়েদা, রাবিয়া ও নূর জাহানসহ ৩ পুরুষ ও ৬ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল