রাঙামাটিতে ৬টি বন মোরগ ও মুরগি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগ। বৃহষ্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও জাতীয় উদ্যানে ২টি বন মুরগি ও ৪টি বন মোরগ অবমুক্ত করা হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহি উদ্দিন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু নাইম মো. শহিদুল আলম ও সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি ব্রীজ এলাকায় অবৈধভাবে এক অসাধু ব্যবসায়ী ৬টি বন মোরগ ও মুরগি বিক্রি করতে হাক ডাক করছিল। এসময় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ এর রিপোর্টারের চোখে পরে। বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধূরীকে অবগত করলে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বন মোরগ ও মুরগিগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এক রাত বন মুরগি ও মোরগগুলোকে পর্যবেক্ষন করার পর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধূরী বলেন, নিউজ২৪ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিশেষ কৃর্তজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের কারণে বন্যপ্রাণীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিন বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। সুস্থ অবস্থায় বন মোরগ ও মুরগিগুলো অবমুক্ত করতে পেরেছি। একই সাথে অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আর করতে না পারে। বন্যপ্রানী নিধন সর্ম্পকে বন সংরক্ষিত আইনে এর শাস্তির বিধার রয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের সংরক্ষিত বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক