চাঁদপুর শহরের পাঁচ নম্বর রেলঘাট এলাকায় জায়েদা বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে ছেলে শরীফ বেপারীকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে চাঁদপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শামছুন্নাহার এই রায় দেন।
হত্যার শিকার জায়েদা বেগম রেলঘাট এলাকার আরব আলী বেপারীর স্ত্রী এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত শরীফ তার বড় ছেলে। তারা রেলঘাট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা সদর উপজেলার কল্যানপুর ইউনিয়নের দাসদী গ্রামের বেপারী বাড়ি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শরীফ মাদকাসক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় মাদক মামলা ছিল। মাদক সেবন করে প্রায়ই শরীফ তার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করতো। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শরীফ তার মাকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ইট ও দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জায়েদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জায়েদা বেগম এর হত্যার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সদর মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে শরীফকে আটক করে।ঘটনায় আরব আলী বেপারী ওই রাতেই স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে ছেলে শরীফকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই মো. রাশেদ তদন্ত শেষে ওই বছর ১০ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি কুহিনুর বেগম বলেন, মামলাটি প্রায় ৮ বছর চলমান অবস্থায় আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণে আসামির অপরাধ স্বীকার করা এবং মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম