বগুড়ায় ঈদুল আজহার দিন সকালে নামাজ পড়তে যা পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহতের ঘটনায় চালক জসিম উদ্দিন ওরফে নানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সাথে ওই বাস জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন ওরফে নানা বরগুনার কুদিঘাটা এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহিদ উল্লাহ এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ৭ জুন সকাল ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বাস চাপায় নিহত হন মো. চাঁন মিয়া (৩৫) ও তার পাঁচ বছরের ছেলে মো. আবদুল্লাহ। ঈদের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তারা। চাঁন মিয়া পেশায় একজন বাসচালক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন নাবিল পরিবহনে চাকরি করেছেন এবং শ্রমিক সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই রাজা মিয়া শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর হাইওয়ে পুলিশ শেরপুর ক্যাম্প তদন্ত শুরু করে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহিদ উল্লাহ জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জোয়ানা পরিবহনের একটি বাস সনাক্ত করা হয়। ওই বাসটিই দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিল বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। বাসটির চালক ছিলেন বরগুনার জসিম উদ্দিন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে বাসটি আটক করা হয়েছে। বাস ও চালক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ