বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিধান চন্দ্র ব্রহ্ম নামে এক শিক্ষককে রক্ষার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষক।
কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক প্রভাত কুমার মজুদার জানান, যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করার এজেন্ডা পালন করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। বারবার চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র ব্রহ্মের দুর্নীতির সাথে অন্য শিক্ষকদের আপস করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সাতজন শিক্ষক লিখিত আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতার কথা অস্বীকার করে চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান জানান, আমি চিতলমারীতে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা খারাপ লোক।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, সাতজন শিক্ষকের করা দরখাস্তটি পেয়েছি। কেউ দুর্নীতি করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই