জুলাই ঘোষণাপত্রে যারা হতাশ হয়েছেন, তারা সারাজীবনই হতাশ থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল।
জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনী ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতাশ প্রকাশ করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।
জামায়াতের নায়েবে আমিরের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে যারা হতাশ হয়েছেন, তারা সারাজীবনই হতাশ থাকেন।
এ সময় পাশে থাকা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তারা (জামায়াত) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হয়তো এখনও দেয়নি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তারা বলেছে-‘হতাশ’। আমরা আশা করব তারা একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই জাতীয় সংকট এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে।’
জুলাই ঘোষণাপত্র ও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিবে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মনে করে এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপক্ষে ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিএনপি এই নির্বাচনকে সফল করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং একটি কার্যকরী জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে যাওয়া। এজন্য নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন কিছুতে বিশ্বাস করি না। গোটা জাতি মনে করে অতি দ্রুত একটি নির্বাচন একমাত্র পথ। যা দিয়ে আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতন্ত্রের দিকে যেতে পারি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত