সমস্যাজর্জরিত ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এজন্য প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন (পিসিএ) কাঠামোর আওতায় আগামী ডিসেম্বর থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলো বিশেষ নজরদারিতে আনা হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকার্স সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, কোনো ব্যাংক পিসিএ কাঠামো অনুযায়ী কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে না পারলে সেই ব্যাংকটিকে অন্য একটি ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। পিসিএ’র আওতায় আর্থিক সূচকগুলোর কোনোটিতে অবনতি বা অস্থিতিশীল হলেই তা শনাক্ত করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে বলেছেন গভর্নর। বিশেষ করে কম খেলাপি ঋণের ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে বেশি খেলাপি ঋণের ব্যাংক। এটা বাস্তবায়ন করতে রাজনৈতিক যত বাধাই আসুক ব্যাংক খাতের সংস্কারের বিষয়ে কোনো আপস করবেন না গভর্নর। আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন, আগামীতে ব্যাংক খাতের সংস্কার আসছে, এর কোনো বিকল্প নেই। ডলারের বিনিময় হার যেটাই করা হোক পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক আরও বলেন, দুর্বল শনাক্ত হওয়া ব্যাংকের মানোন্নয়নে পিসিএ’র আওতায় ‘ডিরেকটিভস অব বাংলাদেশ ব্যাংক-ডিওবিবি বা ডব’ ইস্যু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বলতা কাটিয়ে ব্যাংকের মানোন্নয়নে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে একীভূত করার মতো পদক্ষেপও নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক এমডিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকার্স সভায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ