রাজধানীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুতা, ফেব্রিক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের প্রদর্শনী। চার দিনব্যাপী ১০ম ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স অ্যান্ড এক্সেসরিজ শো-২০২৪’ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড। প্রদর্শনীতে একই ছাদের নিচে ১৫০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের তৈরি বিভিন্ন সুতা, ফেব্রিক এবং রাসায়নিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিং-এর যন্ত্রপাতিসহ তাদের উদ্ভাবনী নানা আনুষঙ্গিক পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান ফাহাদ প্রমুখ।
বিজিএমইএ’র প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকার গার্মেন্টস সেক্টরের বৈচিত্র্য নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটযুক্ত লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৬২টিই বাংলাদেশে। এটা বিশ্বের মধ্যে একটি পজিটিভ ইমেজ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এই জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ভালো করেছি। গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের নভেম্বরে আমাদের ১২ শতাংশের বেশি গ্রোথ হয়েছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটা প্রসেস। এরপরের চ্যালেঞ্জ আমাদের সবাইকে নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, “সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক পণ্যের আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের নিয়ে একটি বিশেষ আয়োজন এটি। আগামী মৌসুমে এই খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উৎস খুঁজে বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রদর্শনী।’’
আয়োজকরা জানান, মূলত বায়িং অফিস, বায়িং এজেন্ট, আরএমজি রপ্তানিকারক, নিট কম্পোজিট ইউনিট, লেবেল প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক এবং মার্চেন্ডাইজারদের উদ্দেশ্য করেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে করে নতুন কালেকশনের পাশাপাশি নতুন সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়ার সুযোগ মিলবে। ফলে সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক উৎসের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে এই প্রদর্শনী। সহজেই সর্বশেষ উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন সরবরাহকারীদের খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন অংশগ্রহণকারীরা।
এছাড়া, এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), মার্চেন্ডাইজিং ব্রাদারহুড অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এমবিএবিডি), বাংলাদেশ মার্চেন্ডাইজার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএসএ)। চার দিনের এই প্রদর্শনী প্রতিদিন ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ