দেশে কিশোর গ্যাং নামে মানুষ শকুনদের দৌরাত্ম্য চরমে উঠেছে। সাধারণ মানুষের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে তারা শহর নগর গ্রাম- প্রতিটি জনপদে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে ইটভাটায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে মানুষ শকুনেরা। এবার অপহরণ করা হয়েছে স্কুলছাত্রীকে। বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা গোদাগাড়ী মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন, অপহৃত কিশোরী উপজেলার মহিষালবাড়ী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে লস্করহাটি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মেহেদী পলাশ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সাড়া না মেলায় সে অপহরণের হুমকি দেয়। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে ছাত্রীটিকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুরাতন জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে মেহেদী পলাশ ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে। গোদাগাড়ীর অপহরণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারা দেশেই রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের অসংখ্য গ্রুপ। এদের কারণে গরিব মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের অশুভ উদ্দেশ্যে এসব গ্যাং গ্র“পের উত্থান। দেশের প্রায় প্রতিটি স্কুল ও কলেজে একাধিক গ্যাং গ্র“প রয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে গ্র“পগুলোর বিরুদ্ধে। কিছু কিছু গ্র“পের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে। সামান্য বিষয় নিয়েও গ্যাং গ্র“পগুলোর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বোমাবাজিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসেও এরা পারদর্শী। দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য কিশোর গ্যাং গ্র“পের তৎপরতা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এর সঙ্গে তথাকথিত ছাত্র সংগঠনগুলোর সংশ্লিষ্টতাও দুর্ভাগ্যজনক। অতি সম্প্রতি পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি একটি সুখবর। রাজধানীসহ সারা দেশে কিশোর গ্যাং গ্র“পের তৎপরতা থামাতে তা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।