শিরোনাম
রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের ধৃষ্টতা

ক্যাম্পের বাইরে আসা রোধ করুন

কৃতঘ্ন প্রজাতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের পরিচিতি দীর্ঘদিনের। এ পরিচিতির কারণে স্বদেশে তারা বারবার বিতর্কের শিকার হয়েছে। মিয়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরজীবী ধর্মব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ চাপ এবং জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধে বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছিল। বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে সন্ত্রাস, হানাহানি ও ঢালাও প্রজননতত্ত্বে বিশ্বাসী রোহিঙ্গারা আশ্রয়দাতা দেশের শান্তিশৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এদের কারণে ধ্বংস হচ্ছে কক্সবাজারের বনজঙ্গল। বাংলাদেশিরা জিম্মি হয়ে পড়ছে এ দুর্বৃৃত্ত সম্প্রদায়ের কাছে। দুঃসাহসের সীমা অতিক্রম করে কক্সবাজারের উখিয়ার একমাত্র খেলার মাঠ দখলের ধৃষ্টতা দেখিয়েছে রোহিঙ্গারা। শুক্রবার ছুটির দিনে দুপুরে মাঠের দখল নেয় রোহিঙ্গাদের বড় একটি দল। মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয় বাংলাদেশিদের। বাংলাদেশি তরুণদের রোহিঙ্গারা বলে, তোমরা এ মাঠে আর খেলতে পারবে না। দুপুর থেকে উখিয়া উপজেলা মাঠটি দখলে রেখে ফুটবল খেলে রোহিঙ্গারা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে মাঠ পুনর্দখল করা হয়। এ সময় উখিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় খেলার মাঠ থেকে আটক করা হয় ৫০ রোহিঙ্গাকে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, বাংলাদেশি কোনো নাগরিক উখিয়ার মধ্যে চলাফেরা করতে চাইলে চার-পাঁচটি চেকপোস্ট পার করতে হয়। রোহিঙ্গারা কীভাবে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বাইরের মাঠ দখলের সাহস পায় সেটি এলাকাবাসীর প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় খেলোয়াড়রা মাঠে খেলতে পারছে না। আটক ৫০ রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। উখিয়ার ইউএনও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের আগ্রাসি আচরণকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। এ প্রজাতির সদস্যরা যাতে ক্যাম্পের বাইরে না যেতে পারে সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে হবে। এদের যেভাবেই হোক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর