জুলাই বিপ্লবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও অংশ নিয়েছিলেন। জীবনের পরপারে চলে গেছেন যিনি ৪৮ বছর আগে সেই তিনিই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে। গেয়েছেন ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল কর রে লোপাট/ রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী’। নজরুল মানেই বিদ্রোহ। নজরুল মানেই প্রতিবাদ। একটি গল্প দিয়ে শুরু করি। আসলে গল্প বলাটা ঠিক হচ্ছে কি না বুঝতে পারছি না। এটি লিখেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তার ‘কল্লোল যুগ’ গ্রন্থে।
আলীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে নজরুল বদলি হয়েছেন হুগলি জেলে। ১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় নজরুলের ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি। এ কবিতার জন্য এক বছর সশ্রম কারাদন্ড হয় তাঁর। হুগলি জেলে এসে নজরুল জেলের শৃঙ্খলা ভাঙতে শুরু করলেন, জেল কর্তৃপক্ষও চাইল তাঁর পায়ে ভালো করে শৃঙ্খল পরাতে। লেগে গেল সংঘাত। শেষকালে নজরুল অনশনে বসলেন। ২৮ দিনের মাথায় নজরুলের বন্ধু নলিনীকান্ত সরকারকে সবাই ধরল। জেলে গিয়ে নজরুলকে যেন খাইয়ে আসেন। উনি জানতেন নজরুল মচকাবার ছেলে নন, তবু ভাবলেন একবার চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কী। গেলেন হুগলি জেলের ফটকে। সঙ্গে তার আরেক বন্ধু পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। জেলে ঢুকতে পারলেন না তিনি, অনুমতি দিলেন না কর্মকর্তারা। হতাশ মনে ফিরে এলেন হুগলি স্টেশনে। হঠাৎ নজরে পড়ল প্ল্যাটফরমের গা ঘেঁষেই জেলের পাঁচিল উঠে গেছে। মনে হলো জেলের পাঁচিলটা একবার কোনোরকমে ডিঙাতে পারলেই নজরুলের সামনে সটান চলে যেতে পারবেন তিনি। আর এভাবে জেলের মধ্যে একবার ঢুকতে পারলে সহজে যে বেরোনো চলবে না তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। তবু বিষয়টা চেষ্টা করে দেখার মতো। পবিত্রকে বললেন, তুমি আগে উবু হয়ে বোসো, আমি তোমার দুই কাঁধের ওপর দুই পা রেখে দাঁড়াই দেয়াল ধরে।
পবিত্রের কাঁধে ভর দিয়ে পাঁচিলের ওপর উঠে গেলেন নলিনীকান্ত। জোরে হাঁক ডেকে বললেন, কেউ একজন নজরুলকে ডেকে আনো এক্ষুনি। নলিনীকান্তের চেঁচামেচিতে অনেকেই ছুটে এসে বিনা পয়সায় সেই সার্কাস দেখতে লাগল। কিছুক্ষণ বাদে দুজন কয়েদির কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নলিনীকান্ত নজরুলকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আটাশ দিন হয়ে গেল, এখন তো অন্তত অনশন ভাঙো। নজরুল মাথা নেড়ে বললেন, তা হবার নয়। তিনি অনশন থামালেন না। সেই অনশন তিনি ভেঙেছিলেন কিন্তু চল্লিশ দিন পর মাতৃতুল্য শাশুড়ি বিরজাসুন্দরী দেবীর অনুরোধে। এ গল্পটি এখানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, কবি দ্রোহের কবিতা লিখতেন। সাম্রাজ্যবিরোধী গোলামির জিঞ্জির ভাঙার কবিতা লিখেছেন। তিনি ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন বিদ্রোহী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বার ও সোচ্চার।
ইংরেজি সাহিত্যে বিপ্লবাত্মক সাহিত্য বলে একটি কথা চালু আছে। শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী সময়ে পাশ্চাত্য দেশের লেখক-সাহিত্যিকরা সাধারণ মানুষের সংগ্রাম ও অধিকার আদায়ে প্রচুর সাহিত্য রচনা করেছেন। ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের ‘এটেল অব টু সিটিজ’, রুশ ঔপন্যাসিক বরিস পাস্তার নায়েকের ‘ডক্টর জিভাগো’ ও ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ এ ধরনের উপন্যাসগুলোর কয়েকটি। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে নজরুলের আগে এ ধরনের সাহিত্য রচনায় তেমন কেউ প্রয়াসী হননি। ব্যতিক্রম শুধু ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাব্যগ্রন্থ ‘অনল প্রবাহ’। অবশ্য নজরুলের আগে যুদ্ধ নিয়ে বাংলায় যে উপন্যাস বা কাব্য রচিত হয়নি তা নয়। ভূদেব, বঙ্কিম, রমেশ দত্ত যুদ্ধের পটভূমিতে উপন্যাস লিখেছেন। নজরুল লেখেন- ‘আমি বেদুইন আমি চেঙ্গিস/আমি আপনারে ছাড়া করিনা কাহারে কুর্ণিশ’। রঙ্গলাল, মধুসূদন, হেম, নবীনচন্দ্র যুদ্ধ নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। কিন্তু এর কোনোটাই বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্জাত নয়। এসবে কল্পনার বিলাস ও বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। নজরুলের ‘বাঁধন-হারা’ই বাংলা সাহিত্যে বাস্তব অভিজ্ঞতাপ্রসূত প্রথম যুদ্ধ-উপন্যাস।
‘বাঁধন-হারা’র আরেকটি ঐতিহাসিক মূল্য আছে এবং তা এই যে, এটি বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম পত্রোপন্যাস।
‘মৃত্যুক্ষুধা’ নির্জিতদের নিয়ে লেখা বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস এবং এ উপন্যাসেই সর্বপ্রথম সাম্যবাদের সুর উচ্চারিত হয়েছে। শুধু তা নয়, আঞ্চলিক ভাষার সার্থক প্রয়োগ আমরা সর্বপ্রথম এখানেই লক্ষ্য করি। কৃষ্ণনগরের নিম্নবিত্তরা প্রাত্যহিক জীবনে যে ভাষা উচ্চারণ করে, এমনকি ঝগড়াবিবাদ করে থাকে, তা-ও নজরুল হুবহু তুলে ধরেছেন। বাংলা নাটকে দীনবন্ধু ‘নীলদর্পণে’ আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগে যেমন সাফল্য অর্জন করেছেন, নজরুলও বাংলা উপন্যাসে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারে তেমন অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন।
উপরোক্ত দিক বিচারে বাংলা সাহিত্যের দৈন্য নিতান্ত হতাশাব্যঞ্জক। কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অনলবর্ষী লেখায় বাংলা সাহিত্য করেছেন বেশ সমৃদ্ধ। নজরুল ছিলেন একজন বিপ্লবী, বিদ্রোহী ও সাম্যবাদী। তাঁর সামগ্রিক চিন্তা-চেতনা ও মননে ছিল মানবপ্রেম। নজরুল যখন সাহিত্য রচনা শুরু করেন তখন শুধু ভারতবর্ষই নয়, সমস্ত পৃথিবীই উত্তাল। তিনি ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। চোখের সামনে ১৯১৭ সালে ঘটেছে রুশ বিপ্লব। ব্যথিত হয়েছেন জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকান্ডে। দগ্ধ হয়েছেন ভারত ছাড় ও অসহযোগ আন্দোলনে।
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যিক-জীবনের সূচনাপর্বে অর্থাৎ ১৯২২ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘ব্যথার দান’, ‘অগ্নিবীণা’ ও ‘যুগবাণী’ গ্রন্থগুলো প্রকাশিত হয়। ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিতে তিনি লিখলেন- ‘চির উন্নত মম শির’। এ লেখার মাধ্যমে নজরুল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবিরোধীদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেন। যদিও ১৯২২ সালের অক্টোবরে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়, কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই ২৩ নভেম্বর বইটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। নজরুল তাঁর কবিতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিরোধিতা করেছেন সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির। কাজী নজরুল ইসলামের কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ বিশের দশকে। সন্দেহ নেই রুশ বিপ্লবের স্রোত এসে আছড়ে পড়েছিল ভারতবর্ষেও। মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা তাদেরই উদাহরণ। নজরুল সেই আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন নিঃসন্দেহে। সৈনিক হিসেবে কর্মরতকালে নজরুল ব্যারাকে বসে রুশ বিপ্লবের সমস্ত নিষিদ্ধ পুস্তক পড়তেন। সেই সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল রুশ সাহিত্যেরও। বিখ্যাত সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত লিখিত ‘কল্লোল যুগ’ বইটিতে আমরা দেখি বন্ধু নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় নজরুলকে পুসকিন, তলস্তয়, গোগল, দস্তয়েভস্কির উপন্যাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। নজরুল যে শুধু রুশ সাহিত্য পড়েছেন তা নয়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে করাচিতে বসে মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন ওমর খৈয়াম ও রুমির কাব্যসাহিত্য। করাচি থেকে ফিরে কলকাতায় কমিউনিস্ট নেতা মুজফ্ফর আহমদ ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাহচর্য তাঁকে মানবধর্মের এক নতুন দিশা এনে দেয়।
এ দেশের মানুষকে গুলি মারার প্রতিবাদে নজরুল ইংরেজকে সাবধান করে লিখেছেন- ‘হিমালয় হইতে কুমারিকা পর্যন্ত একটা বিপুল কম্পন শুরু হইয়া গিয়াছে... আমরা বাঁচিতেছি-তোমরা মরিতেছ।’ সীমান্তে মুহাজিরিন হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। এ হত্যার বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ব্রিটিশরাজ যখন এ দেশ গ্রাস করতে শুরু করে, সেই আদিলগ্নে মুসলিম আলেমরা ঘোষণা করেছিলেন, সম্পূর্ণ ভারতবর্ষ যুদ্ধক্ষেত্র; এ দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে এসে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। দলে দলে মানুষ এ দেশ ত্যাগ করে কাবুল যায়। কাবুলে ভারতের একটি স্বাধীন প্রবাসী সরকার গঠিত হয় ১৯১৫ সালে।
তরুণদের তিনি আহ্বান জানালেন সশস্ত্র সংগ্রামে প্রাণ বিসর্জন দিতে, ‘ওরে তরুণের দল, তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ নেই যে বলতে পারে, যতক্ষণ আমার প্রাণে ক্ষীণ রক্তধারা বয়ে যাবে ততক্ষণ আমি তা দেশের জন্য পাত করবো।’ আজ চাই মহারুদ্রের ভৈরব গর্জন, প্রলয় ঝঞ্ঝার দুর্বার তর্জন, বিপুল রণউন্মাদ। বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব/দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও/নট মল্লার দীপক রাগে/দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি/ভিক্ষুকের এ লজ্জা বৃত্তি/বিনাশো জাতির এ দারুণ লাজ, দাও তেজ, দাও মুক্তি-গরব/দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব। ‘রক্তাম্বর ধারিণী মা’, ‘আগমনী’, ‘ম্যায় ভুখা হু’ এসব রচনার মধ্য দিয়ে বিপ্লবের অসাধারণ চিত্র এঁকেছিলেন তিনি।
যে ইংরেজ বিচারপতি নজরুলের সাজা দিয়েছিলেন তার নাম সুইনহো। বিচারপতি সুইনহো যে একজন কবি ছিলেন তা কাজী নজরুল ইসলাম জানতেন। তাই জবানবন্দিতে কবি কাজী নজরুল লিখেছিলেন- শুনেছি, আমার বিচারক একজন কবি। শুনে আনন্দিত হয়েছি। বিদ্রোহী কবির বিচার বিচারক কবির নিকট। কিন্তু বেলা শেষের শেষ খেয়া এ প্রবীণ বিচারককে হাতছানি দিচ্ছে, আর রক্তঊষার নবশঙ্খ আমার অনাগত বিপুলতাকে অভ্যর্থনা করছে; তাকে ডাকছে মরণ, আমায় ডাকছে জীবন, তাই আমাদের উভয়ের অসত্ত্ব-তারা আর উদয় তারার মিলন হবে কিনা বলতে পারি না।... আজ ভারত পরাধীন। তার অধিবাসীবৃন্দ দাস। এটা নির্জলা সত্য। কিন্তু দাসকে দাস বললে, অন্যায়কে অন্যায় বললে এ রাজত্বে তা হবে রাজদ্রোহ। এ তো ন্যায়ের শাসন হতে পারে না। এই যে জোর করে সত্যকে মিথ্যা, অন্যায়কে ন্যায়, দিনকে রাত বলানো একি সত্য সহ্য করতে পারে? এ শাসন কি চিরস্থায়ী হতে পারে? এতদিন হয়েছিল, হয়তো সত্য উদাসীন ছিল বলে। কিন্তু আজ সত্য জেগেছে, তা চক্ষুষ্মান জাগ্রত-আত্মা মাত্রই বিশেষরূপে জানতে পেরেছে। এ অন্যায় শাসনক্লিষ্ট বন্দী সত্যের পীড়িত ক্রন্দন আমার কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল বলেই কি আমি রাজদ্রোহী? এ ক্রন্দন কি একা আমার? না-এ আমার কণ্ঠে ঐ উৎপীড়িত নিখিল-নীরব ক্রন্দসীর সম্মিলিত সরব প্রকাশ? আমি জানি, আমার কণ্ঠের ঐ প্রলয়-হুঙ্কার একা আমার নয়, সে যে নিখিল আত্মার যন্ত্রণার চিৎকার। আমায় ভয় দেখিয়ে মেরে এ ক্রন্দন থামানো যাবে না। হঠাৎ কখন আমার কণ্ঠের এই হারাবাণীই তাদের আরেকজনের কণ্ঠে গর্জন করে উঠবে।
আজ ভারত পরাধীন না হয়ে যদি ইংল্যান্ড ভারতের অধীন হতো এবং নিরস্ত্রীকৃত উৎপীড়িত ইংল্যান্ড অধিবাসীরা স্বীয় জন্মভূমি উদ্ধার করবার জন্য বর্তমান ভারতবাসীর মতো অধীর হয়ে উঠত, আর ঠিক সেই সময় আমি হতুম এমনি বিচারক এবং আমার মতই রাজদ্রোহ অপরাধে ধৃত হয়ে এই বিচারক আমার সম্মুখে বিচারার্থ নীত হতেন, তাহলে সে সময় এই বিচারক আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলতেন, আমিও তাই এবং তেমনি করেই বলছি।
১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিলেন নজরুল। নজরুল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি পেয়েছিলেন, এমন ভাববার কিন্তু কোনো কারণ নেই। মুজফ্ফর আহমদ তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, জেল আইন অনুসারে সে সময় মাসে তিন দিন করে রেমিশন পাওয়া যেত। সেই হিসাবে দশ মাসে তিনি ত্রিশ দিন রেমিশন পেয়ে ঠিক সময়েই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মুক্তির দিন কৃষ্ণনাথ কলেজের ছেলেরা মিছিল করে নজরুলকে নিয়ে গেলেন সায়েন্স মেসে। পরে নজরুল এসে উঠলেন নলিনাক্ষ সান্যালের বাড়িতে। এখানে সে সময় কয়েকটা দিন তিনি থেকেও গেলেন। নজরুলের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। যে কদিন তিনি এখানে ছিলেন বহরমপুরের যুব সম্প্রদায় নজরুলের গান দিয়ে শহর মুখর করে তুলেছিল। ৪৮ বছর আগে জীবনের পরপারে চলে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সরব উপস্থিতি এখন গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অমরত্ব হয়তো একেই বলে।
♦ লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
ইমেইল : [email protected]