মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

‘শাকিব বলেছিলেন তিনি সিঙ্গেল’

অবশেষে মুখ খুললেন বুবলী

শোবিজ প্রতিবেদক

‘শাকিব বলেছিলেন তিনি সিঙ্গেল’

শাকিব খান ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন এই নায়কের স্ত্রী ও তাঁর সন্তানের মা নায়িকা বুবলী। রবিবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বুবলী। সেখানে তিনি শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর নিজের, নায়িকা অপু বিশ্বাসের সম্পর্ক ও সন্তানের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। বুবলী বলেন, আমি ২০১৬ থেকে কাজ করেছি। শাকিব খানের সঙ্গে আমি কাজ শুরু করি বা সুযোগ পাই। তিনি আমাকে মেন্টর হিসেবে গাইড করতেন। তাঁর মাধ্যমেই আমার ফিল্মে আসা। ওই সময় আমি কেন, পুরো বাংলাদেশের কেউ কি জানতেন তাঁর আগের কোনো সম্পর্ক নিয়ে? এটা কিন্তু আমরা কেউই জানতাম না। শাকিব খান নিজেকে আমার কাছে সিঙ্গেল হিসেবেই উপস্থাপন করেছিলেন। সেই সুবাদেই ভালো লাগা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে যখন বিষয়গুলো (অপু বিশ্বাসের সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসা) সামনে এলো, তখন শাকিব খান নিজেও অবাক হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে অপু লাইভে আসার আগে হঠাৎ আমাকে ফোন করেছিলেন এবং অনেক বাজে ব্যবহার করেছিলেন। আমি বুঝতে পারিনি কেন। ওই ব্যবহারের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার কষ্টের জায়গা ছিল, আমি তো কিছুই জানি না।  কেন আমাকে জড়িয়ে এভাবে বলা হচ্ছিল, সে কারণেই আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এ বিষয়ে শাকিবের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছিলাম।  আমি শাকিব খানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, পরে তিনি অনেক ইমোশনালি আমাকে বলেন যে, ‘অনেক দিন ধরেই কথাগুলো তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তুমি তো এটায় জড়িত নও। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে এক বছর ধরে আমার যোগাযোগ নেই।’ শাকিব খানের কথা অনুযায়ী অপু বিশ্বাসকে তিনবার অ্যাবরশন করতে হয়েছিল। চতুর্থবার বাধ্য হয়েই তিনি সন্তান নিয়েছিলেন। এসব ঘটনায় তো আমি নেই। তখন সিনেমায়ই আমার অস্তিত্ব নেই। কেন আমাকে দোষারোপ করা হলো যে, আমার কারণে কারও সংসার ভেঙেছে? আমার কারণে কারও সংসার, সম্পর্ক ভাঙেনি। আমি স্পষ্ট করে দর্শকের উদ্দেশে বলতে চাই। তাদের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াটা, তাও তো সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা। তারা তো ম্যাচিওডর মানুষ। কোনো সম্পর্কে সমস্যা হওয়ার পর একজন যখন আরেকটি সম্পর্কে যুক্ত হন, তার জন্য কি ওই নতুন মানুষ দোষী হয়ে যায়? আমাদের সমাজে অনেকেই নতুন সম্পর্কে যুক্ত হচ্ছেন না? তাদের যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়, কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তারা যদি সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেতে চায়, তার জন্য কি নতুন মানুষটি দায়ী? শাকিব খান নিজেই আমাকে বলেছেন, তিনি এ সম্পর্কে (অপু বিশ্বাসের সঙ্গে) সুখী নন। তিনি তাঁর জায়গা থেকে আমাকে অনেক কিছুই বলেছেন। যা আমি তাঁর সম্মানার্থে আগেও বলিনি, আজও বলব না। এটুকু বলি, আমি তো অনেক পরে এসেছি, তাঁদের সমস্যাগুলো তো অনেক আগে থেকেই। আমার বেবি বাম্পের ছবি যে জয়ের জন্মদিনে ছাড়া, বিষয়টা এভাবে ভেবে করিনি আমি। যতদূর জানি, জয় এবার ছয় বছরে পড়েছে। তো এর আগে অনেক বছর গেছে, আমি তো কোনো জন্মদিনে এমনটা করিনি। সব সময় ওর জন্য ভালোবাসা, দোয়া দিয়ে এসেছি। আমিও তো একটা মানুষ, আমারও তো কষ্ট থাকতে পারে। আমি তো শুধু বেবি বাম্পের ছবি দিয়েছি। কাউকে দোষারোপ করেও তো কিছু বলিনি। শুধু নিজের আবেগের জায়গা থেকে একটা বিষয় শেয়ার করেছি। চেয়েছিলাম, আমরা একসঙ্গে খুব সুন্দরভাবে শেহজাদকে সামনে আনতে। আমি কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ করিনি, আজকেও করছি না। না হলে ও হয়তো কখনো কোনো সময় প্রশ্ন করবে, মা তুমি তো কোনো কথা বলনি কখনো। অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি শাকিব খানের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা নিই। এ কথাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বিয়ে বা আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে আমি কোনো আর্থিক সহায়তা নিইনি। স্বামী বা সন্তানের বাবা হিসেবে অবশ্যই এটা তাঁর অনেক বড় দায়িত্ব। সবকিছু তাঁর ওপর নির্ভর করে। আমার সন্তানের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি, আজ অব্দি আমি কখনই আর্থিক সহায়তা নিইনি। সবকিছু নিজেই বহন করছি। সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় প্রায় এক বছরের মতো থাকতে হয়েছিল।

তখন শাকিব ১৫ হাজার ডলারের মতো হেল্প করেছিলেন। বাকি প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মতো আমি নিজে বহন করেছিলাম। কয়েকদিন আগে আমার জন্মদিনে শাকিব খান হীরার নাকফুল উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু শাকিব বিষয়টি অস্বীকার করেন। নাকফুলের বিষয়টি নিয়ে অনেকে জানতে চেয়েছিলেন; দেখুন কোনো স্বামী তাঁর স্ত্রীকে কিছু উপহার দেন, সেই বিষয়টা যদি প্রমাণ করতে হয়, তা হলে এটা নিয়ে কথা বলাই উচিত নয়।

তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারপরও যদি কিছু প্রমাণ করতে যাই, তাহলে তাঁকে অসম্মান করা হবে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না। তিনি যা ভালো মনে করেছেন, বলেছেন।  

 

সর্বশেষ খবর