ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ‘শত্রু ঘায়েল’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে এফডিসিতে আসতেন রিকশায় চড়ে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেওয়া পূর্ণিমা অভিনয়ে আসেন মায়ের উৎসাহেই। প্রথম সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেই আলোচনায় আসেন তিনি। নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায়। ওই সময় বেবিট্যাক্সি চড়ে শুটিংয়ে যেতেন এ নায়িকা। এরপর হলুদ ট্যাক্সিযোগে যেতেন বিভিন্ন সেটে। হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া গুনতে হতো বেশি। ৪-৫টি সিনেমায় অভিনয়ের পর তাঁর মায়ের ইচ্ছা হলো মেয়েকে গাড়ি কিনে দেওয়ার। নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ্য না থাকায় পুরোনো একটি গাড়ি কেনেন তাঁরা। সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের টয়োটা স্টারলেট গাড়িটি কিনেছিলেন পূর্ণিমা ও তাঁর পরিবার। দিয়েছিলেন আড়াই লাখ টাকা। এক সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমা বলেন- ‘প্রায়ই গাড়ির তেল কেনার টাকা থাকত না। একের পর এক ছবি ফ্লপ হচ্ছিল। এখনকার মতো সাইবার বুলিং হতো না। তবে তখন সরাসরি মুখের ওপর এসে অনেকে বলতেন- ‘তুমি তো কুফা নায়িকা। তোমার অভিনয় কিছুই হয় না।’ দাঁত চেপে সবার কথা মুখ বুজে শুনতাম আর আশুলিয়ায় গিয়ে হতাশ হয়ে এক প্লেট ফুচকা নিয়ে বসে যেতাম। একেকটা ফুচকা মুখে নিতাম আর ভাবতাম- ‘আমার কী হবে? কবে লোকে পছন্দ করবে?’ পূর্ণিমা প্রথম সিনেমায় পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ১ লাখ টাকা।