শিরোনাম
- নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ
- ৪৮ ঘণ্টা শাটডাউনের পর এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির নতুন নির্দেশনা
- শাবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই
- মুরাদনগরের ঘটনায় ৪ জনের নামে পর্নোগ্রাফি মামলা, কারাগারে প্রেরণ
- দেশব্যাপী দূষণরোধে অভিযানে ২৫ কোটিরও বেশি জরিমানা
- এনবিআর পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
- কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ
- বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের
- চট্টগ্রামে নকলের দায়ে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- লটারিতে ঘোড়াঘাটের ৬ পয়েন্টে ওএমএস ডিলার নির্বাচিত
- কাস্টমসের কমপ্লিট শাটডাউনে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত
- ১ মিনিটে একশো বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
- প্রথমার্ধেই বাহরাইনের জালে বাংলাদেশের ৫ গোল
- স্নাতকোত্তর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন
- শরীয়তপুরে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
- চা-বাগানে বেড়ে ওঠা ইতির হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন এসপি
- ‘ইডিজিই' প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিল ইবির ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী
- বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ও আমরণ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
- বরিশালে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সভা অনুষ্ঠিত
বাণিজ্যে অস্থির শিক্ষা মন্ত্রণালয়
নিবারণ বড়ুয়া
প্রিন্ট ভার্সন

বদলি আর ইনসিটু (পদোন্নতি পেয়েও পদায়ন না দেওয়া) বাণিজ্যে অস্থির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এক বছরের জন্যও কর্মস্থলে স্থির হতে পারছেন না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় খালি পদ না থাকলেও এক পদে তিন-চার জনকে ইনসিটু এবং সংযুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ফলে একদিকে শিক্ষকরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তেমনি যোগদান করতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ছেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে গতি এলেও যোগ্য লোকদের সরিয়ে পদ খালি রাখা হয়েছে। এমনকি সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের দেশের শেষ সীমানায় বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোয় যেমন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষা প্রশাসনে বিরাজ করছে অস্থিরতা ও ক্ষোভ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি শাখার কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আবদার আর নিজেদের পছন্দের লোকজনকে সুবিধা তৈরি করে দিতেই মূলত এমন কর্মকাণ্ড চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করার অঙ্গীকার করলেও তারই মন্ত্রণালয়ের শাখায় শাখায় চলছে নানামুখী বাণিজ্য আর দুর্নীতি। মন্ত্রীকে ঘিরে থাকা কিছু কর্মকর্তা প্রতি মাসেই বদলি আর ইনসিটু, সংযুক্তি, পাঠদানের অনুমোদন বাণিজ্য করেই হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ওপর নেমে আসে বিভাগীয় মামলাসহ নির্যাতনের খড়গ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের একটি সরকারি কলেজে কর্মরত গণিত বিভাগের এক শিক্ষককে বছরে একাধিকবার বদলি করা হয়েছে। সরকারি আদেশ মেনে চলা সত্ত্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই শিক্ষক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মিথ্যা অজুহাতে সাবেক শিক্ষা সচিবকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। আমি বাঁচার তাগিদে সত্য ঘটনা যাচাইয়ের আবেদন করে আদালতে মামলা করেছি। আমার মতো অনেক শিক্ষক এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’ এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (কলেজ) এহসানুল জব্বার বলেন, ‘আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।’
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, মার্চের শেষ দিকে অধ্যাপকদের অধ্যক্ষ এবং সমমানের প্রশাসনিক পদে পদায়নের লক্ষ্যে ফিটলিস্ট তৈরির নামে অনেক অধ্যাপককে দেশের শেষ প্রান্ত থেকে ডেকে এনে ‘মুখ-দেখা’ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারে কয়েকজন অধ্যাপককে ভালো পদায়নের লোভ দেখিয়ে উৎকোচও দাবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের একটি সিন্ডিকেট অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মন্ত্রী ও সচিবকে ভুলিয়েভালিয়ে শিক্ষার বড় বড় পদে পদায়ন করছেন। সম্প্রতি নায়েমের মহাপরিচালক পদেও সেরকম ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া এনসিটিবি এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডেও এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
এদিকে শিক্ষা ক্যাডারের দীর্ঘ দিনের দাবি অনুযায়ী ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়ার কথা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে সে পদক্ষেপ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কয়েকজন নেতা। তারা জানান, সারা দেশে ৫৫০ জন সংযুক্তিতে এবং ৪০০ জনের মতো ইনসিটু রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দিচ্ছি না। শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি ২৯ থেকে কমে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এ দুর্নীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে’।
এই বিভাগের আরও খবর