বরিশালে হাত-পা বাঁধা ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের তালুকদার হাট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া নারীর নাম মারিয়া আক্তার (২৩)। তিনি উজিরপুর উপজেলার সাকরাল গ্রামের বাসিন্দা ও ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের স্ত্রী। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মারিয়ার দাবি, স্বামীর ডিভোর্সি স্ত্রীর ভাইসহ স্বজনরা ভ্রƒণ নষ্টসহ তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে।
বন্দর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের তিন স্থানে ফোসকার চিহ্ন রয়েছে।
তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভুক্তভোগী মারিয়া জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ভোলায় স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। ভোলা যেতে না পেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার লাহারহাট এলাকায় বাস থেকে নামেন। এ সময় পেছন থেকে চার-পাঁচজন লোক চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে একটি গাড়িতে উঠিয়ে তাকে মারধর করে এবং জোর করে মুখের ভিতর ওষুধ ঢুকিয়ে দেয়। ওষুধ খেতে না চাইলে তারা মারিয়ার শরীরে কিছু মেখে দেয়। এতে শরীরে ফোসকা পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের দেখে ফেলায় মারিয়াকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। মারিয়া বলেন, ‘চোখ বাঁধার সময় একজনকে চিনতে পেরেছি। তিনি আমার স্বামীর ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর ভাই বনি আমিন হাসিব। তারা অনাগত সন্তান নষ্টসহ আমাকে হত্যার জন্য এ কাজ করেছে।’ তার স্বামী মশিউর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সন্তানের ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মশিউল মুনির বলেন, ‘হাসপাতালে কোনো এসিড দ্বগ্ধ রোগী ভর্তি হয়নি। একজন নারী ভর্তি আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’