কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যুক্ত হলো বিলুপ্তপ্রায় রাজধনেশ পাখি। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি রাজধনেশ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে এখানে আনা হয়েছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনজুর আলম জানান, উদ্ধার করা পাখিগুলোকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে রাখা হয়। পরীক্ষা শেষে সেগুলোকে পাখিশালায় স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে নিয়মিত ফলমূল সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও আকারে কিছুটা ছোট, তবুও তারা সুস্থ রয়েছে।
বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান বলেন, রেমাক্রি ইউনিয়নের এক পাহাড়ি বাসিন্দার বাড়িতে বিক্রির জন্য আটক রাখা হয়েছিল পাখিগুলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে রাজধনেশ দুটি উদ্ধার করে থানচি থেকে বান্দরবান সদর বন বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে সেগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্বে মোট ৫৬ প্রজাতির রাজধনেশ পাখি রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে চারটি প্রজাতি মুক্ত বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে এই পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। চট্টগ্রামের গভীর বনাঞ্চলে রাজধনেশের বসবাস বেশি। শিংয়ের মতো বাঁকানো শক্ত ঠোঁট দিয়ে তারা উঁচু গাছের ডালে খোড়ল করে বাসা বানায়। ফলমূল, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ তাদের প্রধান খাদ্য।
বিডি প্রতিদিন/আশিক