শিরোনাম
১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:৫৯

''আমাকে সরাসরি বাধা দেওয়ার মতো সাহস কার আছে?''

''আমাকে সরাসরি বাধা দেওয়ার মতো সাহস কার আছে?''

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতি পদে লড়তে যাচ্ছে প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। 'অদৃশ্য' কারণে নির্বাচনে তার প্যানেলের সদস্যরা মনোনয়ন ফরম জমা দিতে না পারায় একা লড়াইয়ের ঘোষণা দেন এই সু-অভিনেত্রী। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মৌসুমী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল 

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কেমন চলছে?
তেমন কিছু না। এখন পোস্টার-ব্যানার লাগানো হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোটারদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়া শুরু করবো। আপাতত এর বাইরে কিছু করছি না এবং সেটার প্রয়োজনও হচ্ছে না। সব ভোটারদের সাথে কথা বলেছি। সবাই বলেছে, 'আমরা সব খবর দেখছি, পড়ছি, তোমার প্রচারণা সম্পর্কেও অবগত আছি।'' তারা আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানতে পারছে। আমি মনে করি তাদের পাশে থাকাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

এককভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যরা দলীয়ভাবে। কোনো বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন?
মনে হয় না, আমাকে সরাসরি বাধা দেওয়ার মতো কারও সাহস আছে। আমার পয়েন্টে যদি ঠিক থাকি কেউ বাধা দিবে না। সাহস করবে না। যতই একা দাঁড়াই, আমি তো আসলে একা না... এটা তারা ভালো করেই জানে। সবাই জানে সেটা, তারাও আমার সহশিল্পী, কেউ আমার সিনিয়র কেউ জুনিয়র। সবাই আমার সাথে কাজ করছে এবং তারা দেখছে এবং জানে বিষয়টা। তারা আমাকে একা করে দিয়েছে কিন্তু আসলে আমি তো একা না। এটা তারা ভালোই অনুধাবন করছে। এত নোংরা চিন্তা আমার ব্যাপারে তারা করবে না। আমার চেয়ে বড় শিল্পী যারা আছেন তারাও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। 

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন দৌড়ে থাকবেন কী?
আমি কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামিনি। আমি নিজের মতো করে সবকিছু করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবো। ধরে নিলাম আমি হেরে যাব, এটা মাথায় রেখেই নির্বাচনে এখনো আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব এটা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। 

নির্বাচনে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন?
আমাকে মানুষ কেন ভোট দিবে এই প্রশ্নের উত্তরটা বেশ সহজ। সেটা গুরুত্ব দিয়ে প্রচারেরও দরকার নেই। বরং সেটি হাস্যকর হবে। ভোটার ভোট দিতে গিয়ে একটা বিষয় চিন্তা করবে- মেয়েটা সৎ কী না, তার রেপুটেশন কী। আমি এটা করবো, ওটা করবো, শিল্পী সমিতির জন্য আটতলা ভবন করবো- এমন অঙ্গীকার ঢাকঢোল পিটিয়ে করার দরকার নেই। গত মেয়াদে যারা ছিলেন তারা তাদের ব্যর্থতার জায়গাটা ফোকাস করবেন যে ''সরি, আমরা এসব অঙ্গীকার পূরণ করতে পারিনি, আগামীতে করবো।'' আর যেটা তারা করে ফেলেছে বা করছে এখন সেসবও কিন্তু সবাই জানে। এসবও গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের দরকার নেই। তারা কী কী ভালো কাজ করেছে বা করতে পারেনি সেটাও আমরা জানি। আমার ক্ষেত্রে আমি বলবো যে দীর্ঘ জীবনে আমি কী কী করেছি, আমি মানুষ কেমন- এই ২/৩টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এসব ঠিক থাকলেই তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বড় যোগ্যতা বলে আমি মনে করি। 

আপনাকে একা করে দেয়ার উদ্দেশ্যটা কী, কেন এমনটা হল?
আমাকে একা করে দেয়া হয়নি, আসলে প্যানেলে যারা ছিলেন তারা দাঁড়াতে পারেনি তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে। এ বিষয়ে আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। আমি তো অন্যের হয়ে মতামত দিতে পারি না।

আপনাকে ধন্যবাদ
বাংলাদেশ প্রতিদিনকেও ধন্যবাদ। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর