হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যামি অ্যাডামস আজ পা দিলেন ৫১-তে। বয়স বাড়লেও তারুণ্য এখনো তাঁকে ঘিরে রেখেছে, এমনটাই মনে করেন এই ছয়বারের অস্কার মনোনীত তারকা। অভিনয়ের বাইরেও জীবনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। জীবনের নানা পর্যায়ে পাওয়া অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধিই তাঁকে গড়েছে পরিণত মানুষ হিসেবে।
এক সাক্ষাৎকারে অ্যামি বলেছিলেন, 'পেছনে তাকালে মনে হয়, যোগ্য মানুষ খুঁজতে কত সময় নষ্ট করেছি।' জীবনের এই উপলব্ধি যেন তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতারই প্রতিফলন।
অ্যামির মতে, তাঁর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল ৩০-এর কোঠায় পৌঁছানো। তখনই তিনি জীবন ও নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেন। তাঁর ভাষায়, 'জীবন কী, কীভাবে শিখব এই সময়টাই আমাকে বড় শিক্ষা দিয়েছে।'
এখনো কখনো কখনো অতীতে ফিরে যেতে চান তিনি। শৈশবে গিটার শেখা না-পারাকে এখনো একটি অপূর্ণতা হিসেবে দেখেন।
অস্কারে ছয়বার মনোনয়ন পেলেও একবারও পুরস্কার জেতা হয়নি অ্যামির। বিষয়টি তাঁকে খেদ করায়। বিশেষ করে শন পেন কিংবা মেরিল স্ট্রিপের মতো কিংবদন্তিদের পাশে বসে প্রায়ই মনে হতো, 'আমি এখানে কেন? আমি এখানে মানানসই নই।'
প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে অ্যামি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হন সুইডেনের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও গায়িকা অ্যান মার্গারেটের কাছ থেকে। খোলামেলা অভিনয়ের জন্য পরিচিত অ্যান মার্গারেটকে আইডল হিসেবে দেখেন অ্যামি। বলেন, 'আমি তাঁর মতো হতে চাই।'
১৯৭৪ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া অ্যামি ১৯৯৯ সালে ‘ড্রপ ডেড গর্জিয়াস’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অ্যারাইভাল’, ‘দ্য মাস্টার’, ‘দ্য ফাইটার’।
বিডি প্রতিদিন/মুসা