মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জজ মিয়া নাটক আর দেখতে চাই না : ড. মিজান

ফেনী প্রতিনিধি

অতীতে ব্লগারদের যারা হত্যা করেছে তাদের যদি বিচার হতো, তাহলে মুক্তবুদ্ধির চর্চা যারা করেন তাদের খুন হতে হতো না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের ধরতে পারছে না বা ধরছে যেটিই হোক না কেন, এ কারণেই একটির পর একটি অঘটন ঘটে যাচ্ছে। একটির পর একটি ঘটনা ঘটার পরও যখন অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না বা চিহ্নিত করা হচ্ছে না, তখন জনগণের মনে এ সন্দেহটি জাগা অস্বাভাবিক নয় যে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও এমন কোনো দুষ্টচক্র লুকিয়ে আছে কি না, যারা এই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। জজ মিয়া নাটক আর দেখতে চাই না। গতকাল ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তুলসী রানী দাস তুনিকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন  জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তুলসী রানী দাস তুনি সম্পর্কে ড. মিজান বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ব্যাপারে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানার চেষ্টা করছি। ইকবাল নামে একজন তার পেটে লাথি মেরেছেন বলে ভিকটিম আমাদের বলেছেন। ভিকটিমের বক্তব্য অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। ইকবাল কতটুকু দায়ী তা বিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের শরণাপন্ন করতে হবে। যখন কোনো অপরাধীকে ধরা হবে তখন যেন নিরীহ জনগণকে ধরা না হয়।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অতীতে যেমন অপরাধীদের শনাক্তের নামে জজ মিয়া কাহিনী বানানো হয়েছে, সে রকম কোনো কাহিনীর সঙ্গে আমরা আর পরিচিত হতে চাই না। যারা সত্যিকার অর্থে অপরাধী, শুধু তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে সব ধর্মের স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। প্রত্যেকে প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে যাবে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও ফেনীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এখানে রাষ্ট্রের কোনো মদদ নেই, সরকারের মদদ নেই।

সর্বশেষ খবর