নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন কমিশন গঠন করবে আপনাদের নির্বাচিত সার্চ কমিটি নয়, জনগণের নির্বাচিত সার্চ কমিটি দ্বারা। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্যথায় যে উদ্যোগই গ্রহণ করেন না কেন—জনগণ তা সমর্থন করবে না। গতকাল বিকালে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা। সংগঠনের সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুত্ফর রহমান ও সহসভাপতি মহিউদ্দিন বাবুল প্রমুখ।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, পার্লামেন্টকে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে হলে অবিলম্বে একটি নির্বাচন আমরা চেয়েছি। আমরা কখনো বলিনি, মধ্যবর্তী নির্বাচন। কারণ ওই নির্বাচনই তো মানি না। নতুন নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। কারণ আপনাদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে যে নির্বাচন হয়, তা ছলে-বলে-কৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সেই ফলাফল আপনারা নিজেদের অধীনে নিয়ে নেন। তিনি বলেন, আজকে নির্বাচনের কথা উঠেছে। এর দুটি কারণ থাকতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা উঠে এসেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ থেকে। আবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলিনি। আমরা বলেছি, গত নির্বাচনই আমরা মানি না। সেটা অনৈতিক। আপনি যে ক্ষমতায় বসে আছেন সরকার গঠন করেছেন সেটি অনৈতিক। শতকরা ৫ জন ভোটারও ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
