শিরোনাম
শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কে এই হামলাকারী?

প্রতিদিন ডেস্ক

কে এই হামলাকারী?

জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ ও  লিনউড মসজিদে মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে নিজেকে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে পরিচয় দিয়েছে। নাম নিশ্চিত না করলেও হামলাকারীকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চে উন্মত্ত কায়দায় জঙ্গি হামলা চালানো ব্যক্তি কট্টর ডানপন্থী। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, হামলাকারী এর আগে নিরাপত্তা নজরদারির তালিকায় ছিল না। অবশ্য ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় মসজিদে হামলাকারীও ওই একই ব্যক্তি কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী কারও কারও মতে, হামলাকারী একাধিক ছিল। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে একটি গাড়িতে রাখা বিস্ফোরক উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, হামলার আগেই ব্রেন্টন ট্যারেন্ট টুইটারে ৮৭ পাতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ট্যারেন্ট একটি নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মা স্কটিশ, আইরিশ। সে জানায়, ‘আমার কোনো নিয়মিত শৈশব ছিল না। ২০১১ সালে নরওয়ের অসলোতে ৭৭ জনকে হত্যাকারী আন্ডারস ব্রেভিকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হই। ২০১৭ সালে স্টকহোমে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছি।’ সে অভিবাসী ও ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, দুই বছর ধরেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার পর তিন মাস আগে ক্রাইস্টচার্চে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী। সেখানকার বিগ রিভার জিমে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে। এ সম্পর্কে জিমটির ব্যবস্থাপক ট্রেসি গ্রে বলেন, ‘ব্রেন্টন ট্যারেন্ট পড়াশোনা শেষ করে ২০০৯ সালে। ২০১০ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয় ব্রেনটন ট্যারেন্টের বাবা মারা যান। তার সংসারে মা ও এক বোন আছে।’ ট্রেসি গ্রের ধারণা, বিশ্ব ভ্রমণের সময় ব্রেন্টন ট্যারেন্টের মানসিকতার পরিবর্তন আসতে পারে।

এক্সপ্রেস নামের একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের অনলাইনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে ট্যারেন্ট এ হামলার পরিকল্পনা করেছে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়, হামলাকারী নিজের লাইভ ভিডিওতে দর্শকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছিল ‘পিউডিপাইকে সাবস্ক্রাইব করো’। জনপ্রিয় সুইডিশ ইউটিউবার, কমেডিয়ান, ধারাভাষ্যকার ফেলিক্স কজেলবার্গ সবার কাছে ‘পিউডিপাই’ নামেই পরিচিত। তাৎক্ষণিক এক টুইটার বার্তায় কজেলবার্গ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘হামলাকারীর মুখে আমার নাম শুনে হতবাক হয়েছি।’ হামলাকারী কেন তার নাম নিল, কেন তাকে সাবস্ক্রাইব করতে বলল, সে বিষয়ে আর কিছু বলেননি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর