জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেহলাম (চল্লিশা) উপলক্ষে ৩১ আগস্ট সারা দেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। গতকাল সকালে বনানীতে দলের কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরশাদের ইন্তেকালের পর ৪০ দিন পূর্ণ হবে ২৩ আগস্ট। ওই দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব জন্মাষ্টমীর দিন। সভায় বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধীদলের নেতা হওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় এরশাদের চেহলাম পালনের জন্য পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের এক লাখ টাকা করে পার্টির তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ৩৫ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় মূল আলোচনা হয়েছে এরশাদের চল্লিশা পালন ও বিরোধীদলের নেতা নির্বাচন। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্র জানায়, সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, এরশাদের চেহলাম কেন্দ্রীয়ভাবে রংপুরে করা উচিত। যেহেতু তাকে সেখানে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেই বিরোধীদলের নেতা বানানো প্রয়োজন। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্টির সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পার্টির গঠনতন্ত্র বিধান মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান চাইলে বিরোধীদলের নেতা হতে পারেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, জিএম কাদেরকে বিরোধীদলের নেতা বানানো উচিত। কারণ, তার সঙ্গে পার্টির তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে। আর পার্টির চেয়ারম্যান বিরোধীদলের নেতা হবেন এটাই স্বাভাবিক। প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান বলেন, পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দল পরিচালনা করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচন করতে হবে। জাপার আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, পার্টির গতিধারা অব্যাহত রাখতে জিএম কাদের সংসদে বিরোধীদলের নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এটা নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রত্যাশা। সভা সূত্র থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান জিএম কাদের সভায় বলেন, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণের কল্যাণে যে ধরনের কর্মসূচি নেওয়া দরকার তা ইতিমধ্যে করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চামড়া ইস্যুতে আমরা রাজপথে সরব ছিলাম। আগামী ৩১ আগস্ট সারা দেশে একযোগে এরশাদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, কোনো বিভেদ যাতে না হয় সে জন্য বিরোধীদলের নেতা কে হবেন সে বিষয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রংপুরের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপনির্বাচনে রংপুরের স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রার্থী হিসেবে চারজনের নাম চাওয়া হবে। সেটার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যানকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমাদের দলে কোনো বিরোধ নেই। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিরোধীদলের নেতা ও রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
শিরোনাম
- গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
জাতীয় পার্টির যৌথ সভা
জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার প্রস্তাব
শফিকুল ইসলাম সোহাগ
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর