শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাস্তায় নামতে হবে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে, গণতন্ত্র মুক্ত করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।  কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। তাই দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক জায়গায় আনতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই যাচ্ছি। আমরা মনে করি সব দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ  করে  জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বিএনপি। নেতা-কর্মীরা খ  খ  মিছিল নিয়ে সভার নির্ধারিত সময় বিকাল ৩টার আগেই উপস্থিত হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি না থাকায় তারা নাট্যমঞ্চের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। পরে অনুমতি পেলে বিকাল ৪টার দিকে নেতা-কর্মীরা নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে প্রবেশ করেন। পরে সাড়ে ৪টার দিকে সভা শুরু হয়। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস- চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেল, হেলেন জেরিন খান, অনোয়ার হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, মুন্সি বজলুল বাছিদ আঞ্জু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিচ্ছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষকে সুশাসন থেকে বঞ্চিত করেছে। নিজেদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তা ঢাকার জন্য  চুনোপুঁটিগুলোকে ধরা হচ্ছে।

এই চুনোপুঁটি ধরে ক্যাসিনোর গল্প বানিয়ে  মহাদুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে পারবেন না। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ দেশের সর্বস্তরে পচন ধরেছে। তাই আমাদের এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র প্রয়োজন। খালেদা জিয়াকে  মুক্ত করা ছাড়া গণতন্ত্র আসবে না। এ সরকারের পতন হবে না। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে  এ সরকারকে হটাতে হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি, ব্যর্থ হয়েছি। আজ এক বছর নয় মাস হয়ে গেছে তিনি কারাবন্দী। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আদালতের ওপরে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তার জামিন হচ্ছে না। জামিন হয়তো হবে না। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তি রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই হতে হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সম্প্রতি আমাদের একজন সহকর্মীর পাঁচ বছর জেল হলো,  তিনি সাত দিনের মাথায় জামিন নিয়ে বের হলেন। আর আমার নেত্রীর যখন পাঁচ বছর জেল হয়,  তখন দুই মাসে নকল কপি পায় না। যখন  জামিন চায় বিচারক বলেন নথি তলব, তার মানে আরও তিন মাস। এখান থেকে বুঝতে হবে  অদালত আদালতের মতো চলছে না।

সর্বশেষ খবর