ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার মো. আরাফাত হোসেনের (২৭) জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আরাফাত হোসেন নামে এক আসামি মিস কেস মূলে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেছে।

জানা গেছে, ৪ মে দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার ভার্চুয়াল আদালত মো. আরাফাত হোসেনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে ৩ মে তৎকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের পরিদর্শক মো. মঈনুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। ২৭ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় মো. আরাফাত হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার আরেক আসামি মো. পারভেজ ইকবালের যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম মো. আরাফাত হোসেন দেখাশোনা করতেন।

প্রসঙ্গত, ৭ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকার নাহার ভিলা থেকে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোরশেদের স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলায় মোরশেদের দুই ফুফাতো ভাই জাবেদ ইকবাল চৌধুরী ও পারভেজ ইকবাল চৌধুরীসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি হলেন সৈয়দ সাকিব নাঈম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল। পরে মামলায় নাম আসায় আলোচনায় আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরী। মামলার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করেন প্রয়াতের স্ত্রী ও মামলার বাদী ইশরাত জাহান। সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যার পেছনে শারুন চৌধুরীর ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক উপকমিশনার ও সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধেও মোরশেদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছিলেন ইশরাত। ক্রমাগত মানসিক চাপ দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইশরাত জাহান চৌধুরী।