রাঙামাটির কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কাপ্তাই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সজীবুর রহমান (৪৫) নিহত হন। আহত হন তিনজন। তারা হলেন- মো. আলাউদ্দিন (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (৫৫) ও আবদুল জলিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি সদস্য সজীবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন পাটোয়ারী বাদলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় কে বা কারা পেছন থেকে মাথায় আঘাত করলে সজীবুর রহমান লুটিয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আহত হন আরও তিনজন। পরে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সজীবুর রহমান আশঙ্কাজনক ছিলেন। হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব জানান, নতুন বাজারে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমা নিহত হন। এ নিয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় কাপ্তাই উপজেলায় দুজন নিহত হয়েছেন।
