সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যু

তদন্ত প্রতিবেদন চায় হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একডজনের বেশি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুতে চলমান তদন্তের প্রতিবেদন চেয়েছে হাই কোর্ট। এর জন্য তদন্ত কমিটিকে অবিলম্বে তদন্তকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও একটি সিংহের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হোসেন তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারহানা আফরোজ। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও একটি সিংহের মৃত্যুতে চলমান তদন্ত দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক, সহকারী বন সংরক্ষক, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে ২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন-অর রশিদ। তখন পর্যন্ত ১১টি জেব্রা ও একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যুর খবর ছিল। যে কারণে রিটে ১২টি বন্যপ্রাণী মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরে একটি সিংহীর মৃত্যুর বিষয়টিও আশা করি এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। ২ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯টি এবং ২৯ জানুয়ারি আরও দুটি জেব্রা মারা যায়। এ ছাড়াও সম্প্রতি সেখানে একটি বাঘ ও একটি সিংহীরও মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেব্রার মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও করণীয় নির্ধারণ করতে বলা হলেও নির্দিষ্ট সময় তদন্তকাজ শেষ না হওয়ায় এই মেয়াদ আরও ১০ কর্মদিবস বাড়ানো হয়। এ ছাড়া তদন্ত কমিটিতে আরও তিন সদস্য যুক্ত করা হয়।

সর্বশেষ খবর