বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
শরীফের চাকরিচ্যুতি

আইনজীবীদের চিঠি আমলে নেয়নি হাই কোর্ট রিট করার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরীর জীবনের নিরাপত্তা এবং তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে ১০ আইনজীবীর দেওয়া চিঠি আমলে নেয়নি হাই কোর্ট। তবে তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে সরাসরি রিট আবেদন করতে বলেছে আদালত। গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলে। ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুদকের উপপরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে ১০ আইনজীবীর দরখাস্তের বিষয় হাই কোর্ট শোনেনি। সংশ্লিষ্ট পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে সরাসরি রিট আবেদন করতে মৌখিকভাবে বলেছে। দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় আদেশ এবং চাকরিচ্যুতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেন ১০ আইনজীবী। ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ চিঠি পাঠান। ওই চিঠির বিষয়ে গতকাল আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তখন এ কথা বলে।

সদ্য বরখাস্ত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ চিঠি পাঠানো হয় বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট রুলস ১৯৭২-এর ১১ক অধ্যায়ের বিধি ১০ অনুযায়ী চিঠি পাঠিয়েছি। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আদেশ প্রদানের দাবি করেছি’। তাদের পাঠানো চিঠিটিকে আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করেছেন। এরকম ক্ষেত্রে ১৯৬০ সালের এক মামলায় ভারতের প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলেন সন্তানহারা মা নীলাবতি বেহারা। সেই চিঠির ভিত্তিতে তিনি ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন। তাছাড়া পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনেক স্বপ্রণোদিত রুল জারি হয়েছে এবং বিচারও হয়েছে। জেল থেকে পাঠানো চিঠি জেল আপিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আদেশ কামনা করা হয়েছে।

আইনজীবী শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আবদুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর