তুচ্ছ ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষের জেরে আবারও যে কোনো সময় হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে কাউসার হোসেন আপনের সঙ্গে এক ছাত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। ওই ছাত্রী তার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছাত্র রিয়াজকে বিষয়টি জানায়। সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আপনের কাছে জানতে চান রিয়াজের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রবিন হোসেন ও শিক্ষার্থী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলভির ভূঁইয়া। এক পর্যায়ে তারা আপনকে কয়েকটি থাপ্পড় দেয়। আপন বিষয়টি তার বিভাগের সিনিয়র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক  সেলিম আহমেদ, আরিফ ও তার বন্ধু গালিবকে জানায়। তারা থাপ্পড়ের কারণ জানতে রবিনের কাছে প্রধান ফটকের সামনে যান। এ সময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের রবিন, আলভির, শরীফ, শাহিন, সবুজ, জামিল, ইয়াসিনসহ কয়েকজনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সেলিম, আরিফ, গালিব ও মুজাহিদ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও শাখা ছাত্রলীগের নেতারা সবাইকে হলে চলে যেতে বলেন। তা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর ও মুক্তমঞ্চে ফের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে।

সেটা মীমাংসা করতে গেলে একটা গুজব উঠে কিছু হট্টগোল হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বসেছি। এর পেছনে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল টিম ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এখন যেহেতু উভয় পক্ষ উত্তেজিত, তাই আজকে আর বসব না। আমরা প্রক্টরিয়াল টিম উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।