বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ছয় দিনেও সন্ধান নেই চার বোনের

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের ছয় দিনেও হদিস নেই চার বোনের। তাদের খোঁজে পেতে আর্তনাদ করছেন স্বজনরা। আপন চার বোন ২৬ মে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের মজিবুল হকের মেয়ে। মজিবুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ দাফন সেবা ও লাশ গোসল দিয়ে আসছেন। আত্মীয়স্বজন ও ওই শিক্ষার্থীদের বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে কোনো সন্ধান না পেয়ে ২৭ মে রাতে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাদের পিতা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালেম গ্রামের মজিবুল হকের চার মেয়ে, তার কোনো পুত্র সন্তান নেই। তাদের মধ্যে তাসনিম জাহান (১৭), মারজাহান (১৪), তাজিন সুলতানা (১২) নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষ, অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী, মাইশা সুলতানা (৬) নারুয়া তা’লিমুল কোরআন মডেল মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী। ২৫ মে একই ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় চার বোন। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা নানার বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে তাদের কেউ বাড়ি ফিরেনি। বিকাল থেকে মেয়েরা বাড়িতে না যাওয়ায় তাদের পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি। গতকাল নিখোঁজদের বাবা মুজিবুল হক বলেন, আমি সব আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও মেয়েদের খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনো হদিস পাইনি। আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে।

আমাদের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধও নেই যে, এত বড় ক্ষতি করতে পারে। আমার মেয়ে, আমার ছয় বছরের বাচ্চা...! তার গলায় কথা আসে না। তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।

মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, একসঙ্গে চার বোন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা মর্মান্তিক ও রহস্যজনক। ওদের খুঁজে বের করতে তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেছি। তাদের খুঁজে বের করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর