বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়া আগামী মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ লোডশেডিং থেকে বের হয়ে আসতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম ও ড. বদরুল ইমাম এবং অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে টু-ডি এবং থ্রি-ডি সাইসমিক জরিপ কাজ চলমান আছে। ২০০৯-এ শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় গ্যাস উত্তোলনের জন্য আমাদের একটিও সচল রিগ ছিল না। সেখানে এখন চারটি নতুন রিগ যুক্ত হয়েছে। এর সঙ্গে পুরনো একটি রিগ পুনবার্সন করা হয়েছে। জুনে আমরা বিজয়-১২ রিগের মাধ্যমে শ্রীকাইল নর্থ ১-কূপ খনন শুরু করেছি। মে মাসে বাপেক্স সফল ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে কৈলাসটিলা-৭ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করেছে। ২০০৯ সালের শুরুতে কয়লা উত্তোলন হতো ৬ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০ দশমিক ২৮ মেট্রিক টন। শূন্য দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন গ্রানাইট পাথরের জায়গায় এখন উত্তোলন করা হচ্ছে ৭৮ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। মাতারবাড়ীতে নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল। ভোলার গ্যাস মূল ভূখন্ডে আনার কাজ পরিকল্পনাধীন। আগামী মাসের শেষের দিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা হবে।
