বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

তারেক জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

চলতি বছর ২৬ জুন হাই কোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও এর প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন। রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাই কোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়। ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর পরই মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

ইউট্যাবের নিন্দা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নতুনভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ইঙ্গিতে আদালতকে ব্যবহার করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তারা বলেন, ২০০৭ সালে দায়ের করা তথাকথিত দুর্নীতির পুরনো একটি মামলায় নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রমাণ করে, এ সরকার আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের নতুন খেলায় মেতে উঠেছে।

সর্বশেষ খবর