গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকলেও চিকিৎসকরা এখনো তার সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে অবস্থার উন্নতি না হলে আজ বা কালের মধ্যেই লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হতে পারে। গতকাল দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানান। এতে অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফীকে (অব.) উদ্ধৃত করে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তিনি এখন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতির জন্য চিকিৎসাসেবা চলছে। এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গত বুধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার তাঁর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে বৈঠক করেছেন। বোর্ডের একজন সদস্য সূত্রে জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকলেও চিকিৎসকরা এখনো তার সুস্থ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। গত শনিবার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেছিলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন। তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এ কারণে তার শরীরে অনেকগুলো সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফির নেতৃত্বে এবং দেশের অন্যান্য স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসা চলছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। করোনার পর কিডনি সমস্যার পাশাপাশি তার লিভারের সমসও জটিল আকার ধারণ করে। এ ছাড়া, তিনি অপুষ্টিসহ গুরুতর সেপটি সেমিয়ায় আক্রান্ত বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।
