নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় তৃপ্তির সুযোগ নেই। অনিয়ম হলে পরিস্থিতি বুঝে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামী সংসদ নির্বাচনেও একই অবাধ, নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। চার সিটিতে না এলেও সংসদ নির্বাচনে সব দলকে ভোটে আসার আহ্বান জানান এ নির্বাচন কমিশনার। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রাশেদা সুলতানা। গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি ভোট সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়। ১২ জুন বরিশাল-খুলনা ও ২১ সিলেট-রাজশাহী সিটির ভোট রয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, গাজীপুরে নির্বাচনে কতটুকু কী হয়েছে জনগণ তার রায় দিয়ে দেবে। ইসি চায়-যতগুলো নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেন হয়। মানুষ যেন আসে এবং ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে এটাই প্রধান উদ্দেশ্য। সেটা সব সিটি কেন, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একই নীতিতে থাকব। কঠোর এবং আরও কঠোর হব কিনা এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরও কঠোর হব। আমাদের একটাই ইচ্ছা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। সবার অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের প্রত্যাশা সব সময় প্রত্যাশাও করে কমিশন।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানান, নির্বাচনে কে আসবে, না আসবে এটা তাদেরই ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হবেন বা হতে চান না, এটা একদমই নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের ওইভাবে কাউকে আনার সুযোগ নেই। ভোটে এলে আমরা অবশ্যই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাব। না আসলেও নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য তো আমরা স্টপ হয়ে যেতে পারি না। এই কারণে আমাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তির সুযোগটা আসলে নেই। এখনো আহ্বান করি যারা নির্বাচনে আসছেন না, তারা আসুক, নির্বাচন করুক। ইভিএমে ও সিসি ক্যামেরায় সিটি ভোট করার অভিজ্ঞতা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে থাকবে না ইভিএম; আর সিসি ক্যামেরাও রাখা হবে কি না তা নিশ্চিত নয়। ব্যালটে ভালো ভোট করার বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গাজীপুরের ভোটপরবর্তী গোলযোগের তদন্তের নির্দেশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ‘নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতায় টঙ্গীতে নারী-পুরুষ ঘরছাড়ার’ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গাজীপুর পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সোমবার ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, হামলা, আহত করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।