দেশে যে আইনের শাসন আছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সাজার রায় তারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এই রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, খালেদা জিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত মইন ইউ আহমদের যে সরকার ছিল, সেই সরকারের আমলে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়েরের পর হাই কোর্ট এবং আপিল বিভাগ অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালত দ্বারা এই মামলা চলবে- এমন রায়ের পর বিচারিক আদালত বিচার কাজ সম্পন্ন করে রায় ঘোষণা করেছেন। মন্ত্রী বলেন, তিনি (তারেক রহমান) তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন। আবার দুর্নীতির মামলায় হাই কোর্ট তাকে সাত বছর সাজা দিয়েছেন। নতুন করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়োজন পড়ে না। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সাজা কার্যকরের দায়িত্ব সরকারের। তাই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করবে সরকার। এই মামলার বিচারকাজ তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন- এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একদিকে বলা হয় দেশে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু মন্থর গতিতে চলে। অন্যদিকে বলা হয় বিচার দ্রুত হয়ে গেছে। স্মরণ রাখা দরকার যে, যৌক্তিক তর্ক করা ভালো কিন্তু অযৌক্তিক তর্ক করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা ভালো নয়।