বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলমান এক দফা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকার জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক সাজিয়েছে। তিনি বলেন, হঠাৎ করে এত বিস্ফোরক কোথা থেকে এলো, কারা আনল, কীভাবে আনল? যখনই আন্দোলন তুঙ্গে থাকে, তখনই এই জঙ্গি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি একথা বলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক পরিচালক শরীফুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার কূটকৌশলী। হঠাৎ কুলাউড়ায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। এত বিস্ফোরক, কী ভয়ানক ব্যাপার! হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো, কারা আনল, কীভাবে আনল?’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন আন্দোলন তুঙ্গে থাকে, তখনই এ জঙ্গি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমা বিশ্বকে জুজুর ভয় দেখাবে, যে দেখ আমরা না থাকলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। নাটক করতে করতে সরকার এ জায়গায় এসেছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গুতে প্রতিদিন ১০-১২ জন মারা যাচ্ছেন। কারাগারে শোয়ার মতো করে হাসপাতালের মেঝেতে শিশুরা চিকিৎসা নিচ্ছে। সরকার এত মেগা উন্নয়নের কথা বলে, তাহলে এমন পরিস্থিতি কেন? তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেন না। যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তারাও রেহাই পাচ্ছেন না। বিএনপির কর্মীকে না পেলে তার বাবা, ভাইকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে এমন হতেই থাকবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের একটাই দাবি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ জানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা শতকরা ১০টি আসনও পাবে না। এই একটাই কারণ তাদের কোনো কথাই শুনতে না চাওয়ার। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এ সরকারের পতন দেখতে চায়। নিশ্চিত থাকেন, পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তন আসবে।
