রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে চুরির ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বন্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যানবাহন চালক ও সাধারণ যাত্রীদের। পরে অবশ্য দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ব্যবসায়ীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, গতকাল দুপুরে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক অবরোধ করেন দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। শুধু শপিং মলটির সামনের সড়ক তারা অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা অবরোধের পর সড়ক থেকে সরে যান তারা। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ভাটারা থানার আরেক এসআই আবদুল কাদের জানান, যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইলের শো-রুমে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তারা বেশিক্ষণ সড়ক অবরোধ করে রাখেননি।
আবদুস সামাদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনের দোকানে চুরি হয়। এর প্রতিবাদে দোকান মালিক ও কর্মীরা রাস্তায় নামেন। যমুনা ফিউচার পার্কে এত নিরাপত্তাকর্মী, এত এত সিসি ক্যামেরা, তার মধ্যেও দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে দোকানে চুরি হয়েছে? এখানে দোকানে চুরি ছাড়াও অন্য কিছু রয়েছে। কী রয়েছে সেটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানদাররা এক দফা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন। কিছুক্ষণ পর তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।
জুমার নামাজের পর আবার তারা রাস্তায় নামেন। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদেরও দেখা গেছে।
ফারহাতুল জান্নাত নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে যমুনা ফিউচার পার্কে মারামারি ও ভাঙচুর চলছে। আজকে যমুনা ফিউচার পার্কে বেড়াতে আসবেন না। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে অনেক ভিডিও পোস্ট করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে দেখা যায়, একটি কাচের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে।
গতকাল বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যমুনা ফিউচার পার্কের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মল। ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণ বিবেচনা করে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলেও দোকান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শপিং মলের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সড়ক অবরোধ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি শপিং মল কর্তৃপক্ষের এবং দাবিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে করা উচিত ছিল। সেটি না করে এই পথে যাতায়াত করা হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে সড়ক অবরোধ করা হলো। আন্দোলনকারীদের একজন বলছেন, রাতে মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। এর প্রতিবাদে আমরা দোকান মালিক ও কর্মীরা রাস্তায় নেমেছি। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি।