বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে একটি সংগঠন-যাদের বৈধতা আছে কি না এ সম্পর্কেও বাংলাদেশের মানুষ অবহিত নয়, তাদের একজন নেতা, যার বিতর্কিত আচার-আচরণের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের ভিতরের কেউ কেউ এবং বাইরে থেকে সেই বিতর্কিত নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করছেন। এই প্রতিবাদ আসাটাই সারা দেশের মানুষকে এক ধরনের দুশ্চিন্তার মাঝে ফেলেছে এবং মানুষ বিস্মিত হয়ে বিষয়টি লক্ষ্য করছে।’ গতকাল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ তার নিজস্ব মেরুদন্ডের ওপর ভর করে দাঁড়াক, তা কখনোই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র চায়নি। চায়নি বলেই তারা শেখ হাসিনার পতনকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তাদের অশ্বমেধ যজ্ঞ করার কিছু মানুষকে এ দেশে পাঠিয়ে দিয়ে চক্রান্ত করছে। তাদের জন্য তারা বিলাপ করছে। তারা আটক হলে আক্ষেপ করছে, প্রতিবাদ করছে’। এ সময় ‘চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ভারতের উলম্ব অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, এই জাতির সার্বভৌমত্ব, বিশেষ করে বায়ান্ন থেকে শুরু করে সর্বশেষ ২০২৪-এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে অর্জনগুলো- সে অর্জনকে অবমাননা করা হচ্ছে। এটি কখনো এ দেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। তাদের আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের ভিতরে একটি ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ব্যানারে কী হচ্ছে, কারা করাচ্ছে? তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের স্বার্থে কখনোই কাজ করেনি। বাংলাদেশ মরে যাক, ধ্বংস হোক- এতে তাদের কিছু আসে যায় না। এটি হচ্ছে দিল্লির ঘোষিত নীতি। শেখ হাসিনা থাকলে তাদের অনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করতে কোনো বিঘ্ন হতো না। এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ, জাতীয়তাবাদী শক্তি- তারা যেহেতু কিছুটা স্পেস পেয়েছে, গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে, বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারছে- এই জিনিসগুলো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের ভালো লাগছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার পার্শ¦বর্তী রাষ্ট্রের কিছু বিষয় নিয়ে যে সমালোচনা করতাম, তাদের অন্যায়ের যে প্রতিবাদ করতাম এটি যে ন্যায়সংগত- এ ঘটনার মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিএনপি সব সময় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে।
শুধু আমাদের দেশের পরিবেশবিদরাই নয়, ভারতের পরিবেশবিদরাও বলেছে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের যে আশঙ্কা ছিল, তা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে, গাছগাছালি বিনষ্ট হচ্ছে। শুধু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য, তাদের ব্যবসায়ীদের খুশি করার জন্য শেখ হাসিনা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজি হয়েছেন।’