রাঙামাটির কাউখালীতে মো. মামুন (৩৫) নামের এক পোলট্রি ব্যবসায়ীর দ্বিখণ্ডিত বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাঝের পাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার (১৯), কর্মচারী মো. কামরুল ইসলাম (৩০) ও তার সহযোগী মো. আনোয়ার (২০)। মামুন কাউখালী উপজেলার সুগারমিল আদর্শগ্রাম এলাকার আলী আহম্মেদের একমাত্র সন্তান। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ৭ জুলাই বিকালে নিখোঁজ হন মামুন। পরে তার স্ত্রী স্বামীর অপহরণের কথা উল্লেখ করে কাউখালী থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ থেকে মামুনের কর্মচারী কামরুলকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপহরণের কথা স্বীকার করেন এবং তার তথ্যমতে পুলিশ কামরুলের সহযোগী আনোয়ার ও মামুনের স্ত্রীকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল জানান, মামুনের স্ত্রী কৌশলে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করেন। পরে তারা সবাই মিলে মামুনকে হত্যা করে লাশ দ্বিখণ্ডিত করেন। তারপর বস্তাবন্দি করে মাঝের পাড়া এলাকায় মামুনের ফুফা শ্বশুরের বাড়ির পাশে মাটিতে চাপা দেন। একই সঙ্গে অপহরণের নাটক করেন মামুনের স্ত্রী। কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিলে আরও রহস্য উন্মোচন হবে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।