কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানিসহ নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ। আহতদের মধ্যে দুই শতাধিক মানুষের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, চার শতাধিক পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছে।
অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ওয়ানি। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলৌমা ও শ্রীনগরের আংশিক কিছু অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। তরুণদের ভারতবিরোধী সন্ত্রাসে শামিল হওয়ার ডাক দিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে সম্প্রচারিত একাধিক ভিডিও প্রচার করেছেন ওয়ানি। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করার পেছনে প্রধান ছিলেন তিনি।
মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় তার নাম ছিল। অনেকদিন ধরেই বুরহানকে খুঁজছিল পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের একটি শিবিরের ওপর স্থানীয় লোকজন আক্রমণ করলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। পালাতে গিয়ে নদীতে পড়ে ভেসে যায় একজন। এরপর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০৬