দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত একটি দ্বীপপুঞ্জে নির্মিত নতুন দুটি বিমানবন্দরে দুটি বিমান অবতরণ করিয়েছে বেইজিং। এ সাগরের বিতর্কিত এলাকা নিয়ে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে চীনের দাবির বিপরীতে একটি রায় দেয়ার একদিন পর দেশটি এ পদক্ষেপ নিল। একে অনেকটা দেশটির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশের ্রিতি একহাত নেয়ার সমতুল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সিনহুয়া আজ এক প্রতিবেদনে একথা জানায়।
খবরে বলা হয়, চীনা বিমান দুটি আজ বুধবার বিতর্কিত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের মিসচিফ ও সুবি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমান দুটি হাইনান প্রদেশের বিমাবন্দর থেকে সেখানে যায় এবং পরে হাইনান বিমানবন্দরেই ফিরে আসে।
রায়ের প্রেক্ষাপটে চীনের পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বেইজিং প্রয়োজনীয় সব রকমের পদেক্ষপ নেবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে প্রয়োজনে 'বিমান নিরাপত্তা জোন' প্রতিষ্ঠা করার অধিকার তাদের রয়েছে। চীন আরো বলেছে, 'আমরা আশা করি অন্য দেশগুলো বেইজিংকে হুমকি দেয়ার সুযোগ নেবে না বরং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।'
উক্ত সাগর ঘিরে কারো কর্মকাণ্ড যদি চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তাহলে দেশটি সেখানে 'বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা' আরোপ করতে বাধ্য হবে বলেও চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিংয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই ২০১৬/শরীফ